পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&> 。 মোহন অমনিবাস মোহন তার কোটি টাকা মূল্যের সর্বস্ব লুঠ করেছে। এ যে দেখছি, অরাজক হ দাঁড়াল!” ভদ্রলোক আঁৎকাইয়া উঠিলেন। . রায়বাহাদুর কহিলেন, “স্যার ভৌমিকের কোন কালে কোটি দূরে থাক, লাখও না। এক সপ্তাহবাদে দেব বোলে আমার কাছ থেকে সেই সে পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে নিলেন, আট বছর কেটে গেল, চিঠি লিখে লিখে হয়রান হলুম, এক পয়সাও পেলাম না। এখন ছেড়ে দিয়েছি, সে টাকার আশা করি না।” - করেছে বোলে সংবাদপত্রে খবর বার হয়েছে,তিনি পাঁচ হাজার টাকা ধার কোরে সে ধার শোধ করেননি? এই কথা আপনি বলছেন ?” # রায়বাহাদুর ভদ্রলোক হাসিয়া কহিলেন, “না বললে আর আপনি শুনলেন কি কোরে? সে কথা থাক, কি হয়েছে দেখি !" রায়বাহাদুর সংবাদপত্র পাঠ করিবার জন্য হস্ত প্রসারিত করিলেন। সরোজ কহিল, “সত্য বলতে কী, মোহন যদি এই পথে না গিয়ে অন্য কোন ভাল পথে চলতো, তা’ হ’লে সে জগদ্বিখ্যাত স্মরণীয় মহাপুরুষ হতে পারতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে—” ধীরে ধীরে কুমারী রমা ড্রইংরুম হইতে বাহির হইয়া গেল। একটি মহিলা কহিলেন, “আমাদের মিস সোম এই দস্যুটার সঙ্গে একই জাহাজে গতবারে রেঙ্গুন গিয়েছিলেন না ?” * সরোজ কহিল, “হী। রমা বলে, মোহন যে ভদ্র ব্যবহার তার সঙ্গে করেছিল, তেমন ব্যবহার যে কোন ভদ্র ছেলের কাছ থেকেও কখনও পায়নি। দসু মোহনের ভয়ে রমা যখন আকুল হয়ে উঠেছে, তখন মোহনই তাকে অভয় দিয়ে, সান্তনা দিয়ে রক্ষা করেছিল। এখন আমরা ভাবি, যদি না মোহন এমন ভদ্র হতো, তা’ হ’লে আমাদের রমার দসু্যু মোহনের ভয়ে হার্টফেল করাও এতটুকু বিস্ময়কর ব্যাপার হত না।” আধুনিক মহিলাটি আধুনিক ধরণে মুখ টিপিয়া মৃদু হাস্য করলেন। ১১ রায়বাহাদুর কাগজখানি অপর ভদ্রলোককে ফেরত দিয়া কহিলেন, ঐ সে তাজব ব্যাপার দেখছি! স্যার ভৌমিককে শেষে এমনি সম্মানের সঙ্গে-দেউলিয়া খাতায় নাম লেখাতে হ’ল? ভাগ্যবান পুরুষ সন্দেহ নেই!” ఫ్రో * অপর ভদ্রলোক ক্রোধে গুম হইয়া বসিয়া রহিলেন, কোন জবাব দিলেন না। “তবে একটু অপেক্ষা করো, আমি কাপড়টা বদলে আসি।” রমা হরিণীর মত হালকা পদে ছুটিয়া চলিয়া গেল। - তাহারা যখন আগ্রা স্টেশনে উপস্থিত হইল, তখনও ট্রেন আসিবার প্রায় আধঘণ্টা দেরি আছে। এক সময়ে রমা কহিল, “আচ্ছা দাদা, তোমার বন্ধুর কী মাথায় কোন কাটা দাগ আছে?” #