পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՀեr মোহন অমনিবাস বন্ধ হয়ে যায়, সে বলবে মোহনকে, “ওগো বন্ধু, দাদুর দিকে নজর দিও না।” বৃদ্ধ রায়বাহাদুর হা হা শব্দে হাসিয়া উঠিলেন। উৎপল আড়-চোখে একবার । প্রফুল্ল মুখের দিকে চাহিয়া কহিল, “আপনার আর কোন ভয় নেই, দাদু।” রায়বাহাদুর কহিলেন, “কেন? রমা দিদি অভয় দিয়েছে বোলে ? মোহন কি দিদির হুকুমের ভৃত্য? এক সময়ে এক জাহাজে তিন দিন তিন রাত্রি কাটিয়াছেন বোলে আমি এমনি ছেলেমানুষ কি না যে, বিশ্বাস করবো ঐ কথা!” “আঃ দাদু, আপনি কি সব যা তা বলছেন?” রমা কৃত্রিম বিরক্তি ভরে কহিল। উৎপল কহিল, “মিঃ বেকার নামকরা পুরাতত্ত্ববিদ পণ্ডিত, আমার বিশ্বাস, এতদিন পরে আপনাদের সুড়ঙ্গ-পথের রহস্য উদঘাটিত হবে।” সরোজ উৎপলের গভীর মুখের দিকে চাহিয়া কহিল, “আপনি সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব বিশ্বাস করেন ?” “নিশ্চয়ই! যদি সুড়ঙ্গের কোন অস্তিত্ব না থাকতো, তাহলে পারিবারিক ইতিহাসে ওসব সাঙ্কেতিক শব্দেরও অস্তিত্ব থাকতো না।” রায়বাহাদুর কহিলেন, “আর গুপ্তধন ?” : উৎপলের চক্ষু দুটি চকিতের জন্য জুলিয়া উঠিল। কহিল, “একের অস্তিত্ব স্বীকৃত হলে অন্যেরও না হয়ে পারবে না। তবে....” “তবে কী?” রায়বাহাদুর অধৈর্য স্বরে কহিলেন। “তবে সম্পদের অস্তিত্ব এক জিনিস, আর সম্পদশালী হওয়া অন্য বস্তু।” প্রায় কণ্ঠে উৎপল কহিল। পরম বিস্মিত হইয়া সরোজ কহিল, “ও-কথার অর্থ কী, উৎপলবাবু?” l উৎপল হাসিতে হাসিতে কহিল, “যখন মোহনের গতিবিধির আশঙ্কা এই দিকে রয়েছেঃ তখন প্রকাশ্য ধনই নিরাপদ কতটুকু? তাতে আবার গুপ্তধন ।” : চকিতের জন্য রমর সহিত উৎপলের দৃষ্টি মিলিত হইল। রমার মুখে উদ্বেগের সবিতা দেবী প্রবেশ করিলেন; কহিলেন, “তা হলে উৎপলবাবু কাজ-কর্ম শেষ করবার বেশি সময় আর রইলো না!” ം് উৎপল ও উপস্থিত সকলে বিস্মিত মুখে সবিতা দেবীর দিকে চাহিলেন। উৎপল কহিল, “বুঝতে পারলাম না তো!” & - - সবিতা দেবী হাসিতে হাসিতে কহিলেন, “বেকার সাহেব, আপনার বন্ধু যে কাল অপরাহ্লে আসছেন—শোনেন নি?” q : সকলে হাসিয়া উঠিলেন। উৎপল কহিল, “আমার সঙ্গে দসু মোহনের সাদৃশ্যে অনেক সময়ে এমন ভুল অনেকেরই হয়েছে। আপনি বিদ্রুপ করলেও বলা যায় না কিছু।” । আর এক দফা হাস্যরোল উথিত হইল। কিন্তু রমার মুখে হাসি না দেখিয়া সবিতা দেবী নিম্নস্বরে কহিলেন, “সত্যি, তোর কি হ’ল বলতো, রমা? ভদ্রলোক দুঃখিত হতে পারেন।” । রমা চেয়ার ত্যাগ করিয়া উঠিবার উপক্রম করিতেই উৎপল কহিল, “না সবিতা দেবী,