পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩০ মোহন অমনিবাস মোহনের দিকে চাহিয়া নতমুখে বসিয়া রহিল। উৎপল চিন্তা করিয়া দেখিল, সে এ-বিষয়ে কোন সাহায্যই রমাকে করিতে পারে না কারণ তাহা হইলে রমার সহিত মোহনের ঘনিষ্ঠতা এবং তাহার সহিত উৎপলের যোগাযোগ বিষম সন্দেহের উদ্রেক না করিয়া ক্ষান্ত হইবে না। সুতরাং সে মৃদু হাস্য করিয়া কহিল, སྨྱུག་མ་ཞཁ་སྐམ་ལ་ལྡང་། ཨ་ཨཱ་ཨ་ཅག་སྨག “3.ཐལ། ཉའི་ཡཁ་ཤ༢ ཙེང་ཟ། ཤཱ করবেন।” o রম মোহনের ইঙ্গিতের অর্থ বুঝিল এবং আপন ভুল বুঝতে পারিয়া কহিল, ‘ . ওখানে, দাদা। মামীমার হীরক-বলয় ফেরত দেবার পূর্বে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।” বলিয়ারমা ধীরে ধীরে সংক্ষেপে মোহনের অভিনব অভিযান কাহিনী বিবৃত্ত করিল। o সকলের মুখের উপর বিস্ময়, শ্রদ্ধা, ভয় ক্ষণে ক্ষণে একের পর এক করিয়া উদয় হইতে লাগিল। রমার কাহিনী শেষ হইলে সরোজ উচ্ছসিত স্বরে কহিল, “এতদিনে মোহনের উদ্দেশ্য বোঝবার সুযোগ হ’ল। কেন যে সে ধনীর শক্র, আর অনাথের বন্ধু হয়ে দেখা দিয়েছে এবং এই সবের মূলে তার মার করুণ কাহিনী একমাত্ৰ হেতুরূপে অবস্থিত, তা বোঝা গেল। এ-কথা শোনাবার পরেও কি দাদু, আপনি মোহনের ওপর বীতস্পৃহ হতে পারেন?” | রায়বাহাদুর কহিলেন, “আমি অনেক কিছুই হতে পারি ভায়া, যদি মোহন আমাকে তার দৃষ্টিসীমার বাইরে রাখে।” : মত সভা ভঙ্গ হইল। * উৎপল সকলের সম্মুখে দাড়াইয়া কহিল,"আজকার রাত্রি আমার শেষ রাত্রি। আশা করি, আপনারা আমার সকল দুর্বলতা উপেক্ষা করবেন এবং ভবিষ্যতে যদি আবার দেখা হয়, তবে এমনি সদিচ্ছা নিয়ে পরস্পরের সম্মুখীন হতে সক্ষম হবেন।” : ধনী ও দাতা যুবকটির অমায়িক ব্যবহারে মুগ্ধ হইলেন। রায়বাহাদুর কহিলেন, “হাতের কাজে যখনি অবসর পাবেন, তখনই আমাদের কথা মনে কোরে য়দি দেখা দিয়ে যান রাত্রি ১২টা। উৎপল অর্থাৎ মোহন শয্যায় শয়ন করিয়া চিন্তা করিতেছিল। সকলেই শয্যা গ্রহণ করিয়াছেন। ঝি ও চাকরেরা এইমাত্র বহির্মহলে চলিয়া গেল, গমনকালীন কথাবার্তা মোহনের কর্ণে প্রবেশ করিল। i মোহনের মুখ গম্ভীর ও চিন্তা-সস্কুল। তখন সে কি চিন্তা করিতেছিল, তাহা ভাষায় রূৰ দেওয়া শক্ত। যদিও তাহার মনে গুপ্ত সুড়ঙ্গের কথা জাগরিত ছিল, তাহা হইলেও সে ছাপাইয়া রমার মুখখানি ও তাহার প্রত্যেকটি কথা ও ব্যবহার তাহার মনের উপর দা কাটিতেছিল। o যে বহুমূল্য হীরক কঠি সে রমার জন্য বহু কষ্ট স্বীকার করিয়া সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছে, তাহা দিবার সাহস সে তখন পর্যন্তও পায় নাই। বহুবার সুযোগ পাইয়াও কেন যে তাহার