পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন ও রমা ૨૭d সরোজ বন্ধু উৎপলের সহিত আলোচনায় যোগ দিযাছিল। রমা একান্তে বসিয়া ঘড়ির দিকে বারবার দেখিতেছিল। তাহার দৃঢ় ধারণা হইয়াছিল যে, মোহন যখন বলিয়াছে আড়াইটার মধ্যে অপহৃত দ্রব্য ফিরিয়া পাইবে, তখন সে দ্রব্য ফিরিয়া পাইবেই। পুলিস সাহেব বলিতেছিলেন, “দুটো বেজেছে, আর দুঘণ্টার মধ্যে মিঃ বেকার এসে পড়লেই আশা করি, সমস্যা সহজ হয়ে উঠবে।” সওয়া দুইটা বাজিল, অবশেষে আড়াইট বাজিল। মোহন পকেট হইতে ঘড়ি বাহির করিয়া দেখিল ও রমার সহিত চকিতে দৃষ্টি বিনিময় হইয়া গেল। কিন্তু রমার মন অকস্মাৎ মোহনের উপর বিরূপ হইয়া উঠিল—মোহন মিথ্যা স্তোকবাক্য দিয়াছে। । কিন্তু সহসা গেটের বাইরে একটা হট্টগোল উঠিল। কি ব্যাপার জানিতে চাহিয়া মিঃ দিয়েছে।” উপস্থিত সকলেই বিস্ময়ে হতবাক হইয়া দেখিল, একজন সাজেন্টের অধীনে তিনখানা গাড়ি বোঝাই হইয়া সমগ্র বাণ্ডিল ফেরত আসিয়াছে। সার্জেন্ট একটি লিখিত আদেশ দেখাইল। তাহাতে লেখা ছিল, “পুলিশ-সাহেব আদেশ দিতেছেন যে তাজের সন্নিকটে যমুনার তীরে যে বস্তাগুলি পড়িয়া আছে, তাহা যেন বেলা আড়াইটার সময় মিঃ সোমের প্রাসাদে পৌছাইয়া দেওয়া হয়।” পুলিস-সাহেব দেখিলেন, র্তাহার নাম কেহ জাল-সহি করিয়া সাজেন্টকে প্রতারিত করিয়াছে। মিঃ সোম কহিলেন, “এর মানে কিছু বলতে পারেন?” পুলিস-সাহেব কহিলেন, “না। কেন যে মোহন চুরি করেও ফেরত দিলে, বুঝতে পাচ্ছিনে। মিঃ বেকার না এলে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।” তিনটা বাজিল, সাড়ে তিনটা বাজিল, কিন্তু রমা উঠিবার নাম-গন্ধ করিল না দেখিয়া উৎপল ক্ষণকাল গম্ভীর মুখে চিন্তা করিয়া সহসা উঠিয়া দাঁড়াইল ও ধীরে ধীরে কক্ষের এখনি আসিবেন। so আগ্রা স্টেশনে জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেন প্রবেশ করিল প্রথম শ্রেণী হইতে একটি সাহেব অবতরণ করিয়া সম্মুখে দেখিলেন, একটি কুক্ত দেহ বাঙালী বৃদ্ধ ভদ্রলোক র্তাহাকে বলিতেছেন, “এটা কি প্রথম শ্রেণীর কামরা ?” সাহেব কহিলেন, “হা। আপনি কি প্রথম শ্রেণীর আরোহী?” ভদ্রলোক চক্ষু তুলিয়া সবিস্ময়ে কহিলেন, “এই যে—মিঃ বেকার, আপনি এসে পড়েছেন? আপনার জন্য পুলিস-সাহেব অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন।” মিঃ বেকার আশ্চর্য হইয়া আগন্তুকের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “আপনি আমাকে চেনেন দেখছি। কে আপনি ?” “অবাস্তর প্রশ্ন, মিঃ বেকার। আপনার মত স্বনামধন্য পুরুষকে চেনে না, ভারতে