পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ মোহন অমনিবাস সেইরূপ কম লোকই আছে। তাছাড়া মোহনের যখন এখানে আগমন হয়েছে, তখন....” সহসা ট্রেন ছাড়িবার শব্দ শুনিয়া বৃদ্ধ কামরায় আরোহণ করিলেন। মিঃ বেকার চলমান ট্রেনের দিকে চাহিয়া ভূ-কুঞ্চিত করিয়া ক্ষণকাল দাড়াইয়া রহিলেন। পরে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইয়া দেখিলেন, পুলিস-সুপার তাকে অভিবাদন করিতেছেন। মিঃ বেকার কহিলেন, “উৎপল অর্থাৎ মোহন পালিয়েছে, চুরি করেও মাল ফেরত দিয়েছে, আমাকে আর কোন প্রয়োজন নেই। গুড় নাইট!” মিঃ সোম শশব্যস্তে কহিলেন, “না মিঃ বেকার, না, যাবেন না। দয়া কোরে দুমিনিট অপেক্ষা করুন। আপনার কাছ থেকে এই গুপ্ত সুড়ঙ্গের বিষয়ে আমি উপদেশ চাই।” মিঃ বেকার কহিলেন, “আচ্ছা দেখি, চলুন। সাঙ্কেতিক চিহ্ন খাতাটা একবার আনুন। যদি বুঝতে পারি, তবে সময় নষ্ট করবার সার্থকতা থাকবে।” সরোজের মন অতিমাত্রায় বিষগ্ন হইয়া উঠিয়াছিল। সে কহিল, “আপনি বলছেন, উৎপলবাবুই দস্যু মোহন, মিঃ বেকার?” “হা, মিঃ সোম। তাতে আপনার সন্দেহ আছে না-কি? তবে তিনি যদি সাধুই হবেন, তবে এখন কোথায় তিনি ?” মিঃ বেকার হাসিতে লাগিলেন। সাঙ্কেতিক-চিহ্ন দেখিয়া মিঃ বেকরের মুখে আলোকিত হইয়া উঠিল। তিনি কহিলেন, “বুঝেছি—আসুন, গুপ্ত-সুড়ঙ্গ বার করে দেই। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই পথেই মোহন কাপড়গুলি বার কোরে নিয়ে গিয়েছিল। আসুন।” - পুলিস-সাহেব প্রভৃতি সকলে সঙ্গে চলিলেন। মিঃ বেকার দশ মিনিট চেষ্টা করিয়া তীরে উপস্থিত হইলেন। মিঃ সোমের বিস্ময়ের আর অন্ত রহিল না। এমন সময়ে একজন পুলিস-কনস্টেবল আসিয়া মিঃ বেকারকে অভিবাদন করিয়া কহিল,“হুজুর, এই প্যাকেটটা একটা বুড়ো লোক আপনাকে দেবার জন্য আমার হাতে স্টেশন থেকে পাঠিয়ে দিয়েছে।” ১১ মিঃ বেকার কহিলেন, “কুঁজো ও বুড়ো লোক?” <--- ès “মোহনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল না-কি আপনার ?” “তখন চিনিতে পারিনি, এখন বুঝলুম। আশ্চর্য শক্তি এই দস্যুটার!” মিঃ বেকার কহিলেন। মিঃ বেকরের লাঞ্ছনায় সরোজের মুখে শত চেষ্টা সত্ত্বেও হাসি ফুটিয়া উঠিল। বেকার দ্বিতীয়বার লজ্জা অনুভব করিয়া মুখ নত করিয়া কহিলেন, “আশ্চর্য!” a