পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

こ obr মোহন অমনিবাস সরোজ জানিল না যে, আপন অজ্ঞাতসারে ভগ্নীর মনে কি আঘাত সে করিয়াছে। সে পিতার দিকে চাহিয়া কহিল, “মিঃ বেকারকে একবার দেখালে হয় না, বাবা?” মিঃ সোম কহিলেন, “হয়। কিন্তু তিনি তো ছুটি নিয়ে ইংলণ্ডে গেছেন। কবে ফিরবেন তাও জানা নেই।” মিঃ সোম দলিলখানি সরোজের হাত হইতে লইয়া কহিলেন, “একবার মিঃ ঘোষালের সঙ্গে পরামর্শ করে দেখি, তারপর ইতি-কর্তব্য স্থির করা যাবে।” মিঃ নরেন ঘোষাল মিঃ সোমের নব-নিযুক্ত সেক্রেটারী। সরোজের মুখে বিস্ময় ফুটিয়া উঠিল। সে কহিল, “তিনি নতুন লোক, এ সবের কি বুঝবেন বাবা ? তাছাড়া এসব গুপ্ত দলিল—তাকে দেখানো ঠিক হবে কি?” পুত্রের কথা শুনিয়া মিঃ সোম সস্নেহে হাস্য করিয়া কহিলেন, “পাগল ছেলে! মোহন— দেখছি—তোদের মনে এমন সন্দেহের বিষ ছড়িয়ে দিয়েছে যে, কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছিস না। মিঃ ঘোষালের যে পরিচয়-পত্র আমরা দেখেছি তাতে তার হাতে সই করা ব্ল্যাঙ্ক চেক ছেড়ে দিতেও আমার দ্বিধা হয় না।” . সরোজ প্রতিবাদ করিয়া কহিল, “তিনি যে জয়পুরের মহারাজার প্রাইভেট সেক্রেটারী ছিলেন, তা কি আপনি অনুসন্ধান করে দেখেছিলেন, বাবা?” | “নিশ্চয়ই, সরোজ। তোমার বন্ধু উৎপলের নিখুঁত অভিনয়ের পর আমি কি আর একজন নবাগতকে বিশ্বাস করতে পারি? জয়পুর-দরবারের প্রধান মন্ত্রী আমার বিশিষ্ট্র বাল্যবন্ধু, তাকে পত্র লিখেছিলুম। তিনি মিঃ ঘোষালের ফটাে পাঠিয়ে দিয়ে, পত্রে যে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছিলেন, তারপরে আর কারও সন্দেহ থাকা শুধু অনুচিত নয়, তা 에에" : মিঃ সোম মৃদু হাসু করলেন। সরোজের মুন্ন হইতে সকল সন্দেহের নিরসন হইয় গেল। সে পুনরায় কহিল, “কিন্তু তিনিও যদি কিছু বুঝতে না পারেন?” ~. মিঃ সোম চিন্তিত মুখে কহিলেন, “তা হ’লে মিঃ বেকারের প্রত্যাবর্তন পুর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সুড়ঙ্গ-পথ আবিষ্কার হবার পর এসব দলিলের যে কিছু অর্থ আছে, সে বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ। সুতরাং আমি আর এ ব্যাপার নিয়ে সাধারণের মাঝে আলোচনা করতে চাই না।” ప్ర్ర : সেদিন সন্ধ্যার সময় মিঃ সোম অফিস কক্ষে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, মিঃ ঘোষাল কার্যে ব্যস্ত রহিয়াছেন। মিঃ সোম একখানি চেয়ারে উপবেশন করিয়া কহিলেন, “মিঃ ঘোষাল, আপনার সাঙ্কেতিক ভাষা সম্বন্ধে কোন অভিজ্ঞতা আছে?” মিঃ ঘোষাল মুখ তুলিয়া কহিলেন, “খুব সামান্য, মিঃ সোম। কিন্তু কেন বলুন তো?” মিঃ সোম নব-লব্ধ দলিলখানি পকেট হইতে বাহির করিয়া কহিলেন, “এখানে দেখুন দেখি কিছু বুঝতে পারেন কি-না?” মিঃ ঘোষাল আগ্রহভরে দলিলখানি হাতে লইলেন এবং বহুক্ষণ একাগ্র মনে পরীক্ষা করিয়া, দলিলখানি মিঃ সোমের হাতে ফেরত দিয়া কহিলেন, “না স্যার, কিছুই বুঝতে পারলাম না।” i