পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- মোহন R (f অনতিবিলম্বে এ্যাকন্টিং চীফ ডিটেকটিভ ইনস্পেক্টর মিঃ স্যানিয়েল কমিশনারের কমিশনার কহিলেন, “বসুন।” মিঃ স্যানিয়েল উপবেশন করিলে, কমিশনার বাঙলার ডাক পত্রিকাখনি তাহার হাতে মিঃ স্যানিয়েল নির্দেশিত অংশটিতে একবার মাত্র চক্ষু বুলাইয়া লইয়া কহিলেন, “পড়েছি, স্যার ” “উত্তম। কিছু অনুসন্ধান করেছেন?” কমিশনার প্রশ্ন করিলেন। “অনুসন্ধান? মিঃ স্যানিয়েলের মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়া উঠিল। তিনি স্পষ্টবক্তা বলিয়া খ্যাতিলাভ করিয়াছেন; কহিলেন, “দসু মোহনের কাজের সম্বন্ধে কোন অনুসন্ধান করা পণ্ডশ্রম ছাড়া আর কিছুই নয়, স্যার। সে পিছনে এমন কিছু ফেলে যায় না যাতে কিছুমাত্র প্রমাণও সংগ্রহ হতে পারে। অবশ্য এক্ষেত্রে একমাত্র এই বাঙলার ডাক মোহনের পত্রের নকল কোথা হতে সংগ্রহ করেছে, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। কারণ কলকাতার অন্য কোন কাগজে এ সম্বন্ধে কোন সংবাদই বার হয়নি।” - কমিশনার কহিলেন, “এমনও হতে পারে, মোহনই পত্রের নকল সরবরাহ করেছে।” মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “হতে পারে। কিন্তু সরবরাহের সূত্রটিও আমাদের জানা প্রয়োজন।” “উত্তম! আপনি এখনই এই পত্রিকার অফিসে অনুসন্ধান করতে যান। হা, আর এক কথা, আমাদের সাহায্য চেয়ে যে অনুরোধ জমিদার নীলরতন সরকার পাঠিয়েছেন, সে ঘটবে না, কারণ মোহন জানে, তাকে গ্রেপ্তার করবার জন্য আমরা কিরূপ উৎসুক হয়ে উঠেছি।” কমিশনার গম্ভীর মুখে পেন্সিল কামড়াইতে কামড়াইতে কহিলেন, “আমার ধারণা কিন্তু অন্যরূপ, মিঃ স্যানিয়েল। কারণ সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার, যে দসু্যকে গ্রেপ্তার করবার জন্য আমরা সারা ভারতবর্ষে জাল পেতেছি, সেই দস্য নিশ্চিন্তু আরামে আমাদের প্রতিবেশী হয়েই বাস করছে! সে যে ঐ পত্ৰখানা কলকাতা থেকে পাঠিয়েছে তাতে তো আর সন্দেহ নেই? আমার মনে হয়, আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতৃেবিশেষরূপে চেষ্টা করছি না। নয় কি, মিঃ স্যানিয়েল ?” இ |్యని “না স্যার। আমি একমত হতে পারলাম না। অবশ্য ঐ পত্রের খামের ওপর জি. পি. ও.-র ছাপ পড়েছে, কিন্তু তাতে প্রমাণ হয় না যে মোহন কলকাতাতেই আছে। কারণ ৩ার অসংখ্য অনুচর কাজ করছে। তাদের মধ্যে কেউ তো পত্ৰখানা কলকাতায় এনে ডাকেও দিতে পারে।” “তা পারে। কিন্তু সবই অনুমানের বিষয়, মিঃ স্যানিয়েল। সত্য কথা বলতে কি, আমরা আজ পর্যন্ত অনুমানের উপরই ভর করে আছি। এতগুলি বড় চুরি নির্বিবাদে সাধন :িরে যে দসু আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে এমন ভাবে লুকিয়ে থাকতে পারে, সে যে সাধারণ চোর নয় একথা স্বীকার করলে আমাদের অকমণ্যতাও অস্বীকার করা চলে না!” :মিশনার সাহেব ক্ষুব্ধ কণ্ঠে অনুযোগ করিলেন।