পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমার বিয়ে Հ8:Տ কবর-স্থান পাহারা দেবে।” মিঃ সোমের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “আশা করি, আপনিও এর পর কোন চিন্তা মনে ঠাই দেবেন না, মিঃ সোম?” - মিঃ সোম কহিলেন, “বর্তমানে আপনাদের উপর নির্ভর করা ভিন্ন দ্বিতীয় উপায় কি আছে, তা’ তো বলতে পারিনে।” সহসা রমা ক্লান্ত স্বরে কহিল, “আমি অত্যন্ত ক্লান্ত হয়েছি, যদি অনুমতি দেন, তবে রমার কথা শেষ হইবার পূর্বেই পুলিস-সাহেব ব্যস্ত কষ্ঠে কহিলেন, “নিশ্চয়ই, আপনি যেতে পারেন। বর্তমানে আপনাকে আমাদের আর প্রয়োজন নেই।” “ধন্যবাদ।” বলিয়া রমা ধীরে ধীরে কক্ষ ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল। ইহার অল্প সময় পরে প্রভাত হইল। কিন্তু আহত দসুর কোন সন্ধানই পাওয়া গেল না। পুলিস-সাহেব দুইজন সিপাইকে কবর-স্থানের ফটকে পাহারায় রাখিয়া বাকি দলবলের সহিত প্রস্থান করিলেন। মিঃ ঘোষালের মৃতদেহ পোস্ট-মর্টম পরীক্ষার জন্য মর্গে পাঠাইয়া দেওয়া হইল। মিঃ স্যানিয়েলের অনুরোধে অনুসন্ধান কার্যের ভার তাহার উপর অপিত হইল। (&) পরদিন স্থানীয় এবং ভারতবর্ষের বহু সংবাদপত্রে এই অভিনব হত্যা ও ডাকাতির কাহিনী সবিস্তারে বাহির হইল। হত্যার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে নানা সংবাদ-পত্রে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত প্রকাশিত হইল। মিঃ স্যানিয়েল যে এই কেসের ভার স্বহস্তে গ্রহণ করিয়াছেন, তাহাও কোন সংবাদপত্র উল্লেখ করিতে ভুল করিল না। পরদিন মিঃ স্যানিয়েল প্রাসাদ-সংলগ্ন ধ্বংসাবশেষ এবং সমাধি-স্থানে অতিবাহিত করিলেন। তিনি কি অনুসন্ধান করিতেছেন বা কতদূর সফলকাম হইয়াছেন, তাহা তাহার মুখ দেখিয়া অনুমান করা শক্ত। সারাদিন ধ্বংসস্তুপের মধ্যে অতিবাহিত করিয়া মিঃ সানিয়েল দুইজন কনস্টেবলকে সেদিনও পাহারায় রাখিয়া পুলিস-কোয়ার্টারে ফিরিয়া গেলেন । So পুলিস-সাহেব মিঃ স্যানিয়েলকে দেখিয়া সাগ্রহে কহিলেন, “কি সংবাদ বলুন?” মিঃ স্যানিয়েল গভীর মুখে কহিলেন, “কিছুনা। আরও কিছুসময় আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।” ് “তা করছি। কিন্তু খুনী কে, কি অভিসন্ধিতে হত্যাকাণ্ড সাধিত হয়েছে, কোন কিছুই জানতে পারেন নি?” পুলিস-সাহেব প্রশ্ন করিলেন। মিঃ স্যানিয়েল গম্ভীর মুখে কহিলেন, “পেয়েছি, কিন্তু এখনও সব অনুমান মাত্র।” “হোক অনুমান, আপনি বলুন।” পুলিস-সাহেব সাগ্রহে অনুরোধ করিলেন। মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “অনুমানের ওপর নির্ভর করে কোন কিছু বলা, আর নিজের অগ্রগতি ব্যাহত করা—একই কথা, স্যার। আপনি আর একটা রাত্রি অপেক্ষা করুন, এই আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ।” ইহার পর পুলিস-সাহেব আর কোন প্রশ্ন করিলেন না।