পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

こ、QQ মোহন অমনিবাস পরদিন এক অভিনব লোমহর্ষণকারী সংবাদ “দিল্লী ডেলি নিউজে বাহির হইল। আমরা তাহা অবিকল নিম্নে উদ্ধৃত করিয়া দিলাম— অত্যাশ্চর্য ব্যাপার—অভিনব দস্যতা দিল্লীর প্রসিদ্ধ সার্জন ডাক্তার নীরদবরণ রায় অপহৃত আমাদের কাগজ ছাপা হইবার অব্যবহিত পূর্বে, আমরা এক ভীষণ সংবাদ অবগত হইলাম। যদিও আমরা ঘটনার সত্যতা সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ নহি, তবু সংবাদটি প্রচার না করিয়া পারিলাম না। - গত সন্ধ্যায় সার্জন ডাঃ রায় তাহার পত্নীর সহিত ম্যাজেস্টিক থিয়েটারে অভিনয় দেখিতেছিলেন। নাটকের তৃতীয় অঙ্ক আরম্ভ হইবার অব্যবহিত পরে, রাত্রি প্রায় ১২টার সময় তাহার বক্সের দ্বার মুক্ত করিয়া একজন ভদ্রলোক প্রবেশ করেন। তাহার সহিত আরও দুই ব্যক্তি ছিল, তাহারা বক্সের বাহিরে অপেক্ষা করিতেছিল। ভদ্রলোক ডাঃ রায়ের কানের নিকট মুখ লইয়া অপেক্ষাকৃত নিম্নস্বরে বলেন, “ডাঃ রায়, আমি এক অপ্রিয় কর্তব্য সাধন করবার জন্য আপনার নিকট এসেছি। আমার একান্ত অনুরোধ যে আপনি আমার কাজ সহজ ও সফল ক’রে দেবেন।” ডাঃ রায় জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি কে, মশায় ?” “আমি মিঃ প্রসাদ, দিল্লীর পুলিস-সুপারিনটেনডেন্ট। আমার উপর আদেশ আছে আপনাকে পুলিস-সাহেবের কাছে নিয়ে যাবার জন্য। আপনি কি দয়া করে আসবেন?” ডাক্তার দ্বিধাগ্রস্ত চিত্তে বলেন, “কিন্তু.....” বাধা দিয়া ভদ্রলোক বলেন, “একটিও কথা নয়, ডাক্তার। আমি আপনাকে সনির্বদ্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি যে, আপনি কিছুমাত্র বাধা দেবার বা আপত্তি জানাবার চেষ্টা করবেন না। খুব সম্ভবতঃ বোঝবার ভুলের দরুন এমন একটা দুঃখকর ব্যাপারের সমাবেশ হয়েছে, যার জন্য আপনার উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন হয়েছে। তাছাড়া আপনার সুনামের খাতিরে কোন রকম গোলমাল হওয়া আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। আমি আপনাকে এ নিশ্চয়তাও দিচ্ছি, অভিনয় শেষ হবার পূর্বেই আপনি ফিরে আসতে পারবেন।” _ao ডাক্তার রায় আর আপত্তি না জানাইয়া পুলিস সাহেবের সঙ্গে বহির হইয়া যান। কিন্তু ভীত হইয়া পড়েন এবং পুলিস-সুপারের বাঙালোতে গমন করেন। সেখানে তিনি আসল মিঃ প্রসাদকে দেখেন এবং বুঝিতে পারেন, তাহার স্বামীকে কোন দুৰ্বত্ত অপহরণ করিয়া লইয়া গিয়াছে। - ইহার পর পুলিসের অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় যে, ডাক্তার তিনজন ব্যক্তির সহিত একটি মোটরকারে আরোহণ করেন এবং মোটর স্টেশন অভিমুখে চলিয়া যায়। পাঠক-পাঠিকাগণ এই অভিনব ব্যাপারের পরবতী বিবরণ আমাদের দ্বিতীয় এডিসনে দেখিতে পাইবেন। দিল্লীর ডেলি নিউজের সংবাদ অবিশ্বাস্য হইলেও সম্পূর্ণ সত্য কাহিনী। এই কাগজের দ্বিপ্রহরের সংখ্যায় নিম্নলিখিত সংবাদটি প্রকাশিত হইল ৪—