পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন অমনিবাস טיטאא “হা, আমি বিশ্বাস করি, আপনি জানেন। প্রত্যেক ঘণ্টা, প্রতিটি দিনরাত্রি আমি আপনার চিন্তাধারার অনুগমন করেছি। আপনার অনুসন্ধানের ধারা আমি প্রতিটি মুহুর্ত লক্ষ্য করেছি। আমি জানি, আদ্য সন্ধ্যায় আপনি সমস্ত কথা পুলিস-সাহেব ও ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতেন, কিন্তু বাঙলোয় আগুন লেগেছে, এই মিথ্যে সংবাদ দিয়ে আমি আপনার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছি। তাছাড়া, আমি জানি, আপনি ডেলী নিউজের জন্য প্রবন্ধ লিখে কবে তা লোক দিয়ে পাঠাবার বন্দোবস্ত করেছেন। পরশু দিন এই গুপ্ত সংবাদ সারা ভারতবর্ষ জানতে পারবে।” মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “তোমার প্রত্যেকটি অনুমান সত্য।” মোহন উঠিয়া দাঁড়াইল এবং টেবিলের উপর সজোরে একটি মুষ্ট্যাঘাত করিয়া কহিল, “ওই সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশ করা চলবে না, কিছুতেই না।” মিঃ স্যানিয়েল মৃদু হাসিয়া কহিলেন, “কিন্তু প্রকাশিত হবেই।” মিঃ স্যানিয়েল উঠিয়া দাড়াইলেন। মোহন গর্জন করিয়া কহিল, “বসুন।” মিঃ স্যানিয়েল পুনরায় উপবেশন করিলেন। মোহন ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া কহিল, “প্রবন্ধ কি কাগজের অফিসে পৌছে গেছে ?” “না, এখনও পৌছায় নি।” মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন। “এখনও কি আপনার পকেটে আছে?” মোহন শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল। “পাগল হয়েছ, মোহন । আমি তেমন বিপজ্জনক জিনিস কি সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে ফেরবার সাহস রাখি?” মিঃ স্যানিয়েল মৃদু হাসিয়া কহিলেন। “তবে ?” “আমি রেজিষ্ট্ৰী ডাকে পাঠিয়ে দিয়েছি। কাল বেলা দশটার সময় কাগজের অফিসে ডেলিভারি হবে।” - মোহন গর্জিয়া উঠিল, “ও স্ক্রাউনড্রেল! ডাকে দেওয়া হয়েছে!” f মোহনের হতাশা দেখিয়া মিঃ স্যানিয়েল মৃদু শব্দে হাসিয়া উঠিলেন। তাহা দেখিয়া । মোহন ক্রুদ্ধ ব্যাঘ্রের মত গর্জন করিয়া কহিল, “হাসবেন না—থামুন। আপনি ভুলে । যাচ্ছেন, আমি কে। আমি যদি ইচ্ছা করি, তা হলে এখনি ওই মুখখানাকে-কি দুঃসাহস, আমার সামনে হাসবার সাহস পায়!” * - কক্ষমধ্যে গভীর নিস্তব্ধত বিরাজ করতে লাগিলক্ষণকাল পরে মোহন মিঃ স্যানিয়েলের “না, আমি যাব না।” মিঃ স্যানিয়েল অস্বীকার করিলেন। ! “আপনার প্রবন্ধ ছিড়ে ফেলতে হবে।” মোহন দৃঢ় স্বরে কহিল। * “না।” মিঃ স্যানিয়েল পুনরায় অস্বীকৃতি জানাইলেন। : “সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করে বলতে হবে যে, আপনি প্রবন্ধের ভিতর কয়েকটা ভুল; করেছেন, তা সংশোধন করে দিতে হবে।” মোহন একদৃষ্টে চাহিয়া বলিল। *-** : “না কিছুতেই না।” মিঃ স্যানিয়েল দৃঢ় স্বরে কহিলেন। মোহন দৃকপাত না করিয়া কহিল, “তারপর আপনি অন্য প্রবন্ধ লিখে দেবেন। তাতে শুধু হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস লেখা থাকবে, সাঙ্কেতিক দলিল সম্বন্ধে কোন কথা তাতে থাকবে না। বুঝেছেন?” |