পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৬৭

ミやbr মোহন অমনিবাস “হা, তাই। তুমি সাঙ্কেতিক-লিপির প্রথম নকলখানা ছিড়ে ফেলে দিয়ে না এলে আমি কিছুই জানতে পারতাম না। তোমার অহঙ্কার ছিল যে, মিঃ বেকার যখন বিলাতে তখন ভারতে আর দ্বিতীয় ব্যক্তি নেই, যে তোমার সমকক্ষ হতে পারে বা সাঙ্কেতিক ভাষা পড়তে পারে। তোমার এই অহঙ্কারই তোমার ব্যর্থতা এনেছে, মোহন। সত্য কাহিনী আগামী পরশু, পরশুই বা কেন, আগামী কল্য দিল্লী ডেলী নিউজের সান্ধ্য সংখ্যায় প্রকাশিত হবে। জগতের নর-নারী বিস্ময়ে হতচকিত হয়ে পাঠ করবে, কি বিপুল সম্পদই না এতদিন মাটির মধ্যে প্রোথিত ছিল! ওদিকে প্রত্যেকটি কাহিনী সকলে জানতে পারবে, অথচ এদিকে আমার পুত্রকেও চুরি করবার তোমার লোকদের সাধ্যে কুলাবে না।” এমন সময় দ্বারের বাহির হইতে একজন কহিল, “কতা।” “কে—বিলাস ? কি চাই?” মোহন জিজ্ঞাসা করিল। “তার এসেছে, কর্তা। বলিতে বলিতে ভূত্য বিলাস কক্ষ-মধ্য প্রবেশ করিল। মোহন আগ্রহভরে তারের খামটি ছিড়িয়া ফেলিয়া পাঠ করল। তাহার মুখ আনন্দোজ্জ্বল হইয়া উঠিল। ভৃত্যকে বিদায় করিয়া মোহন মিঃ স্যানিয়েলের মুখের দিকে তীব্র দৃষ্টিতে চাহিয়া কহিল, “আপনি যদি আমার প্রস্তাবে সম্মত না হন, তাহলে আপনার পুত্রকে চুরি করে এনে হত্যা করা হবে। মনে করবেন না, আমি আপনাকে বৃথা ভয় দেখাচ্ছি। মোহন ভুলেও মিথ্যা দপ করে না।” সহসা মিঃ স্যানিয়েল সশব্দে হাসিয়া উঠিলেন। হাসির বেগ কমিলে কহিলেন, “মোহন, কেন তুমি দৰ্প করছ? আমার পুত্র বর্তমানে যেখানে আছে, সেখানে যাবার সাহস ছিচকে চোরের দলের হবে না। তোমার নিজেরও সাধ্য নেই, সেখান থেকে আমার পুত্রকে চুরি করে আনো। | মিঃ স্যানিয়েল হাস্য করতে লাগিলেন। পুনরায় কহিলেন, “তোমার অহমিকাই তোমার পতনের কারণ হবে, মোহন। তুমি ভাব যে তোমার শক্তির কাছে জগতের কোন শক্তিই দাঁড়াতে পারে না। এই ভুলের শাক্তিই তুমি এখন ভোগ করছ। হা, আরও তুমি ভুলে যাও যে অন্যেরও শক্তি আছে, বুদ্ধি-চাতুর্য আছে।” & লাগিলেন, “মোহন, আমার পুত্র এখন কোলকাতায় নাই। সে এখন দাৰ্জিলিংয়ের পুলিসদুর্গে বসে রয়েছে। সাধ্য কি কোন অপরিচিত ব্যক্তি সেখানে প্রবেশ করে? তবে তোমার ইচ্ছা এক্ষেত্রে পূর্ণ হওয়া সম্ভব হবে কি?” i ভাব দেখিয়া মনে হওয়া এতটুকু বিচিত্র নহে যে, সে এখনি মিঃ স্যানিয়েলের উপর ব্যাঘ্রবিক্রমে লাফাইয়া পড়িবে এবং তাহাকে হত্যা করিবে। কিন্তু তেমন কিছুই মোহন করিল না। সহসা সে কিছু সময় পূর্বে প্রাপ্ত হাতের টেলিখানি মিঃ স্যানিয়েলের হাতে দিয়া মিঃ স্যানিয়েলের মুখ রক্ত-শূন্য হইয়া গেল। তিনি অস্ফুট কণ্ঠে আপনাকে আপনি বলিতে লাগিলেন, “এ কি? কিছুই তো বুঝছি না। কখনও সত্য হতে পারে কী?” :