পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন Հ Ջ মিঃ সানিয়েল কহিলেন, “ধন্যবাদ। আচ্ছা যে লোকটা আপনার সামনে ঐ পত্ৰখানা ফেলে গিয়েছিল, তার চেহারা বর্ণনা করতে পারেন?” “পারি।” মিঃ শীল কহিলেন, “লোকটা দেখতে খুব জোয়ান বলেই মনে হ’ল আমার। কোন ভদ্রলোকের যে আমন চেহারা হয় কখনও দেখিনি। বয়স ৪০-এর কাছাকাছি হবে। গায়ে একটা পাঞ্জাবী, গলায় একখানা মলিন চাদর ছিল। তার মুখটা মাত্র একবার চকিতের জন্য দেখেছিলাম, তাও মনোযোগ দিয়ে দেখি নি। তা’ হ’লেও তাকে আবার যদি দেখি, তবে চিনতে আমার বেগ পেতে হবে না।” মিঃ স্যানিয়েল হতাশ স্বরে কহিলেন, “এরূপ বর্ণনায় আমাদের কোন উপকারই হবে না, মিঃ শীল। কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার হ’ল যে, পত্রবাহক আর যে কেউ হোক, মোহন নিজে নয়। ধন্যবাদ! আপনাকে বিরক্ত করলাম—ক্ষমা করবেন।” মিঃ মজুমদারের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ মিঃ মজুমদার। আপনার কাছে আমাদের একটা অনুরোধ আছে। আপনি এই দস্যুটার বিরুদ্ধে যদি মতবাদ সৃষ্টি করতে পারেন, তা’ হ'লে আমাদের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে পড়ে। নইলে দসু্যটার ওপর সাধারণের সহানুভূতির ফলে তাকে গ্রেপ্তার করা একরূপ অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং উত্তরোত্তর আমাদের কাজ দুরূহ হয়ে উঠছে।” মিঃ মজুমদার শান্ত অথচ দৃঢ় কষ্ঠে কহিলেন, “আমাদের কর্তব্য আমরা বুঝি, মিঃ স্যানিয়েল। আমার মনে হয় আপনি বৃথা সময় নষ্ট করছেন।” মিঃ স্যানিয়েলের মুখে মৃদুহাসি দেখা দিল। কহিলেন, “আচ্ছা নমস্কার, মিঃ মজুমদার।” “নমস্কার, মিঃ স্যানিয়েল। মিঃ মজুমদার কহিলেন। চীফ ডিটেকটিভ ইনস্পেক্টর একপদও অগ্রসর হইতে না পারিয়া ক্ষুন্ন মনে প্রত্যাবর্তন করিলেন। তিনি জানিলেন না যে, যখন তিনি যাহার জন্য বৃথা কালব্যয় করিতেছিলেন, সেই দস্য মোহন সে সময় কমিশনারের সঙ্গে উচ্চাঙ্গের আর্ট সম্বন্ধে আলোচনা করিতেছে। ইহাকেই বলে অদৃষ্টের পরিহাস! (br) & తి সুবিখ্যাত আর্টিস্ট মিঃ উৎপল বসু উপবেশন করিয়া কহিলেন, “ভাগ্যক্রমে আপনার কন্যার বেড়াল আমার ঘরে শুভাগমন করেছিল তাই জানতে পারলুম যে, আমার মত একজন আর্টিস্টের ছবিও আপনাদের মত মহৎ ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই ছুটে এলাম আপনাকে বিরক্ত করতে।” ওঁ কমিশনার সাহেব এই বিনয়ী যুবকটির কথা শুনিয়া প্রীত হইয়া কহিলেন, “সত্য কথা এপতে কি মিঃ বোস, আমার আর্ট সম্বন্ধে জ্ঞান অত্যন্ত কম কিম্বা আদৌ নেই বোলে *ীকার করতেও লজ্জিত নই। বর্তমানে এমন এক আর্টের খেলায় পড়েছি যে আর্ট ৬াববার বা অনুভব করবার সময় এতটুকুও নেই। তবে আমার স্ত্রী আপনার আঁকা ছবির ৬ও। তিনিই বার বার আমাকে অনুরোধ করে বলেন যে, পাশের বাড়ীতে এমন একজন লিখাত শিল্পী রয়েছেন, যাঁর আঁকা ছবি বড় বড় এক্সিবিসনে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। র্তার শীক ছবি নিয়ে আমাদের ড্রইংরুম সাজালে চমৎকার হয়। আমিও বলি হয়। কিন্তু ঐ পর্যন্ত, আমারও সময় হয় না, আর তার সাধও পূর্ণ হয় না।” ।