পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২৮৩

&br8 - মোহন অমনিবাস বিরক্ত হইলেও, বিরক্তি চাপিয়া কহিলেন, “ডিয়ার, ও সম্বন্ধে পরে আলোচনা ཅཨ་ཐ་ཞྭ། মিঃ স্যানিয়েলের বন্দিত্বের ইতিহাস শুনি এস। তারপর মিঃ স্যানিয়েল ?” o ইহার পর মিঃ স্যানিয়েল সেদিন পুলিস-সাহেবের পশ্চাতে মোটরে আসিবার সময় পথে ট্রাফিক পুলিসের বাধাদান হইতে আরম্ভ করিয়া সমস্ত কাহিনী—মাত্র সাঙ্কেতিক দলিল ও ধনাগারের ইতিহাস ছাড়া—বিশদরূপে বর্ণনা করিয়া বলিলেন, “আমাকে মোটরে তুলে ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে মোটর ছেড়ে দিলে। মোহন স্বয়ং মোটর চালাচ্ছিল। সে যে এমন একজন দুঃসাহসী মোটর-চালক, তা আমি ইতিপূর্বে জানতাম না। পথে দু এক স্থানে আমাদের মোটর থামতে বাধ্য হ’লেও আমরা যখন দিল্লীর কুইনস গার্ডেনে উপস্থিত হলুম, তখন মাত্র ৯টা বেজেছে।" এক মুহুর্ত নীরব থাকিয়া মিঃ স্যানিয়েল পুনরায় বলিতে আরম্ভ করিলেন, “মোহন “পূর্ব রাত্রি আমার অনাহারে কেটেছে। ক্ষুধার উদ্রেকও যথেষ্ট পরিমাণে হয়েছিল, কিন্তু মন আমার দসু্যটার ওপর এমন বিতৃষ্ণায় ভরেছিল যে, আমি বললুম, না।’ মোহন হেসে বললে, “বাঙলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে, চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়া’, তাই যে আপনি করলেন, মিঃ স্যানিয়েল আমি তার বিদ্রুপের কোন জবাব না দিয়ে নীরব রইলুম দেখে, সে পুনরায় বললে, কিন্তু আমার ক্ষুধা সহ্য করবার শক্তি নেই। আপনি না আহার করেন, আমার আহার করা দেখবেন চলুন ! তারপর আমরা একটি প্রথম শ্রেণীর হোটেলে প্রবেশ করলুম!” | আপনি, কি খাবেন বলুন...অর্ডার দিই।” - ম্যাজিষ্ট্রেট কহিলেন, “আশ্চর্য! দসু্যটার হৃদয়ও আছে।” “একটু বেশি পরিমাণেই আছে, স্যার। আমি এক এক সময়ে ভাবি, আমন একটা শক্তিমান, হৃদয়বান শক্তি যদি সৎ পথে থাকতো, তা’ হ’লে পৃথিবীর অনেক মঙ্গল সাধন করতে পারতো।” বলিয়া মিঃ স্যানিয়েল কয়েক মুহুর্ত নীরব থাকিয়া পুনরায় বলিতে আরম্ভ করিলেন, “আমি কিছুতেই আহার করব না বুঝে সে নিজের জন্য আর তার অপর, দুজন সহকারীর জন্য ব্রকফাস্টের আদেশ দিল। মোহন যে পরিমাণ আহার করলে, দেখে আমি বিস্মিত হয়ে পড়লুম। তারপর ঠিক দশটা বাজলৈ আমরা দিল্লী ডেলী এইখানে বাধা দিয়া পুলিস-সাহেব কহিলেন, “তারপর আমরা জানি। কিন্তু ‘ডেলী নিউজের অফিস থেকে বার হয়ে আপনাকে কোথায় নিয়ে গেল, সেই কথা বলুন। আচ্ছা তার আগে আমি শুনতে চাই, কেন মোহন ওই সাঙ্কেতিক দলিলের কথা বাইরে । প্রকাশ করতে এতটা অনিচ্ছুক ? সত্যই ব্যাপার কি বলুন দেখি ?” - এই প্রশ্নের জবাব মিঃ স্যানিয়েল দিতে পারেন না। যদিও তিনি বুঝিতেছিলেন, সরকারী-কার্যে নিযুক্ত থাকিবার কালীন তিনি কোন বিষয় জ্ঞাত হইয়াও গোপন রাখিতে । পারেন না, তাহাতে বিশ্বাস-ভঙ্গের অপরাধে অপরাধী হইবেন। কিন্তু তাহার একমাত্র সন্তানের জীবন যে-প্রশ্নের উপর নির্ভর করিতেছে, তিনি কি প্রাণ ধরিয়া তাহা ব্যক্ত,