পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমার বিয়ে ף כסי রমার মুখে কৃতজ্ঞতার হাসি ফুটিয়া উঠিল। সে আর কিছু না বলিয়া নত চাহিল। --- মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “তবে আসুন, ডাঃ গুপ্ত।” ডাঃ গুপ্ত এক মুহুর্তের জন্য রমার দিকে চাহিয়া কহিলেন, “যদি কিছু ক্রটি হয়, তবে তা অনিচ্ছাকৃত ভেবে মার্জনা করবেন আমাকে।” রমা লজ্জা-জড়িত স্বরে কি বলিল, তাহা বুঝা গেল না। তাহারা উভয়ে বাহির হইয়া ডাঃ গুপ্তের মোটরে আরোহণ করিলেন। ডাঃ গুপ্ত স্টিয়ারিং হুইল ধরিয়া কহিলেন, “এইবার দসু মোহনের আর পরিত্রাণ নেই। আপনার বুদ্ধি-চাতুর্যে সত্যই আমি অভিভূত হ’য়ে পড়েছি। এখন কোথায় যাব, আদেশ করুন ?” 兹 মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “কাশীর পুলিস হেড-কোয়ার্টারে, ডাঃ গুপ্ত।” ডাঃ গুপ্ত মোটর ছাড়িয়া দিলেন। পুলিস হেড-কোয়ার্টারে উপস্থিত হইয়া তাহারা পুলিস-সুপারের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন এবং অর্ধঘণ্টা অতিক্রান্ত হইবার পূর্বেই পুলিস-ভ্যানে সশস্ত্র পুলিস বাহিনীর অগ্রবর্তী হইয়া পুলিস-সুপার ডাঃ গুপ্তের মোটরে মিঃ স্যানিয়েলের পাশ্বে উপবেশন করিলেন ও ডাঃ গুপ্তের অমানুষিক দ্রুতবেগে মোটর চালাইবার শক্তি দেখিয়া কহিলেন, “ডাঃ গুপ্তের হাতে মোটর যেন আজ্ঞাবাহী ভূত্যে পরিণত হয়েছে।” দুর্গ-প্রাসাদের সম্মুখস্থ ফটকের নিকট আসিয়া সকলে দেখিলেন, বৃহৎ দ্বার মুক্ত রহিয়াছে। মিঃ স্যানিয়েল হতাশ হইয়া কহিলেন, “জীবনে একটা পরম সুযোগ আমার নষ্ট হ’ল।” পুলিস-সুপার কহিলেন, “ব্যাপার কি বলুন তো?” “আর ব্যাপার, স্যার! ধূর্ত এইটুকু অবসরে সদলে পালিয়েছে। সব পরিশ্রমই আমাদের বৃথা হ’ল।” মিঃ স্যানিয়েল দুর্গ-প্রাসাদের অভ্যস্তরে পুলিস অফিসারের সহিত চলিতে চলিতে কহিলেন। , দুর্গ-প্রাসাদের প্রতিটি কক্ষ তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করা হইল, কিন্তু দেখা গেল, নেই–যেন ঝাটাইয়া কক্ষের ধূলা-ময়লা পর্যন্ত সঙ্গে লইয়া গিয়াছে। নেপ পুলিস সুপার ও ডাঃ গুপ্তের সহিত মিঃ স্যানিয়েল মিস রম্ সোমের কক্ষে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, সেখানেও কোন দ্রব্য নাই। তবে একটা র্যাকের উপর কয়েকটি শুষ্ক ফুলের তোড়া রহিয়াছে এবং প্রত্যেক তোড়ার নিম্নদেশে একটি করিয়া মোহনের নামলেখা সুদৃশ্য কার্ড রঙিন সুতা দ্বারা আবদ্ধ আছে। সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় বলিয়া ডাঃ গুপ্তের মনে হইল যে, তাহার দ্বারা আহত দসু্যটিও বেমালুম সরিয়া পড়িয়াছে। তিনি কহিলেন, “ঘরে আগুন লাগলে যেমন কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকে না, তেমনি মোহন যেন এখানে আগুন ধরিয়ে সব কিছুই বেমালুম অদৃশ্য ক’রে দিয়েছে।” আরও কিছুসময় অনুসন্ধান-কার্য চালাইয়া এই দলটি যখন শহরে প্রত্যাবর্তন করিতেছিল, ডাঃ গুপ্ত র্তাহার ঘড়িটা দেখিয়া বলিলেন, “রাত্রি ১টা।” ,