পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩২১

ՎԶՀՀ মোহন অমনিবাস " আকৃষ্ট হইলে, সে পুনরায় কহিল, “আমাকে মার্জনা কর, বোন, আমি ও আলোচনা আ৷ করব না।” অত্যন্ত অসুখী হইয়া পড়ে। এদিকে বজরা আসিয়া দশাশ্বমেধ ঘাটে উপস্থিত হইলে, মিঃ স্যানিয়েলের সহিত মিঃ সোম উঠিয়া কহিলেন, “তোমরা ঘুরে বেড়াও, বাবা। আমি বিশ্বনাথ দর্শন ক’রে আসি।” মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “আমি বলি কি যে, আপনারা আমার সঙ্গে আসুন, রথীন ও চারুকে সুখী করে আসি।” রমা উঠিয়া দাঁড়াইল দেখিয়া, সরোজ ও ডাঃ গুপ্ত এবং কেশবও সম্মতি প্রকাশ করিয়া সকলে একত্রে বজরা হইতে নামিয়া পড়িল। সেদিন রাত্রি দশটা অবধি সকলে ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ করের বাঙলোতে আলাপ আলোচনায় অতিবাহিত করিয়া যখন রামনগরে ডাঃ গুপ্তের ভবনে উপস্থিত হইলেন, তখন প্রায় বারটা বাজে। সকলে আহারাদি করিয়া শয্যা গ্রহণ করিলেন। পরদিন একঅভাবনীয় ঘটনা ঘটিল। পারিত না। কিন্তু এমনও অনেক ঘটনা ঘটিতে দেখা যায়, যাহার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা বজায় থাকিলেও মানুষ নানা কারণে তাহা ভাবিতে সক্ষম হয় না বলিয়া অভাবনীয় বলিয়া ধারণা করে। এই ঘটনাটিও সেইরূপ অভিনব। নারীর মন যে দেবতারও অজ্ঞাত বস্তু, ইহাও সেদিন প্রমাণিত হইল। প্রাতঃকালীন ব্রেকফাস্ট অস্তে ড্রইং রুমে বসিয়া মিঃ সোম, সরোজ ও মিঃ স্যানিয়েল কথা কহিতেছিলেন, এই সময় ডাঃ গুপ্ত ও রমা ডাইনিং-রুম হইতে আগমন করিল ও একত্রে মিঃ সোমের পদতলে গড় হইয়া প্রণাম করিল। ডাঃ গুপ্ত কহিলেন, “আমাদের আশীৰ্বাদ করুন বাবা!” মিঃ সোম প্রথমটা কিছুই সম্যকভাবে বুঝিতে না পারিয়া সচকিত হইয়া উঠিলেন এবং পরমুহুর্তে ডাঃ গুপ্তকে এক হাতে বক্ষে জড়াইয়া ধরিয়া, অন্য হাতে কন্যার মস্তক বক্ষের উপর চাপিয়া ধরিয়া আনন্দে উচ্ছসিত স্বরে কহিলেন, “আঃ জমি কি শক্তিই পেলাম, ভগবান! আমাকে সহ্য করবার শক্তি দিন, প্ৰভু!” সে মিঃ সোমের চক্ষু অশ্রুভারে দৃষ্টি হারাইল। تير সরোজের মুখে প্রশান্ত হাসি ফুটিয়া উঠিল। মিঃ স্যানিয়েল মৃদু হাসিয়া কহিলেন, , “আমার এক-একটা ধারণা কেমন করে যে সত্যে পরিণত হয়, দেখে নিজেই আশ্চর্য হয়ে যাই। গত সন্ধ্যায় ঠিক এই ব্যাপারটিই আমি অনুমান করেছিলাম।” মিঃ সোম ডাঃ গুপ্তকে বক্ষ হইতে মুক্তি দিয়া কহিলেন, ‘আজ আমাকে তুমি যে দুর্ভাবনা থেকে মুক্তি দিলে বাবা, ভগবান জানেন, সে দুর্ভাবনা কি দুঃস্বপ্নের মত আমার মন আচ্ছন্ন করেছিল। কিন্তু এই শুভ কাজে আমি দেরি করতে চাইনে বাবা। প্রবল শক্ৰ আমাদের সম্মুখে রয়েছে।” মিঃ স্যানিয়েলের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “আমার ইচ্ছা যে, দু