পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎԶՎ) C) মোহন অমনিবাস ! পারলাম না। ,盔 রমা হাস্যমুখে কহিল, “বাবার যে সাঙ্কেতিক দলিল চুরি নিয়ে এত কাণ্ড ঘটে গেল, তা তো জানেন ?” s' o “তা আর জানি না, দিদি? কিন্তু হয়েছে কি।” রায়বাহাদুর প্রশ্ন করিলেন। o রমা সলজ্জ কষ্ঠে কহিল, “আপনার নাত-জামাই সেই সাঙ্কেতিক-ভাষার পাঠোদ্বার করেছেন, তাই সকলে দেখতে গেছেন তার বিদ্যা ঠিক কি-না।” s সাঙ্কেতিক দলিলের পাঠোদ্ধার করেছেন? আমাদের নাত-জামাই?” : “হা, দাদু। কিন্তু আপনি এ-রকম.......” রমাকে বাধা দিয়া রায়বাহাদুর কহিলেন, “কি বলছিস, রমা ? আমাদের নাত-জামাই পাঠোদ্ধার করেছেন ?” “হা, সেই তো বলছি, দাদু। কিন্তু আপনি এতটা আশ্চর্য হচ্ছেন কেন?” রমা হাসিতে হাসিতে কহিল। كيني রায়বাহাদুর চেয়ার ছাড়িয়া দাড়াইয়া উত্তেজিত স্বরে কহিলেন, “আমি এখনি নাতজামাইকে দেখতে চাই, এখনি দেখতে চাই—এখনি—” এমন সময়ে মিঃ সোমের পিছনে সরোজ, মিঃ স্যানিয়েল, নূতন জামাতা অরুণ গুপ্ত প্রবেশ করিলেন। রায়বাহাদুর অরুণ গুপ্তের দিকে তীক্ষ দৃষ্টিতে ক্ষণকাল মহিয়া হতাশভাবে বসিয়া পড়িয়া কহিলেন, “ধনাগার আবিষ্কৃত হ’ল, সোম?” সকলে রায়বাহাদুরকে প্রণাম করিবার পর মিঃ সোম কহিলেন, “হ’ল কাকাবাবু, কিন্তু আগার আছে—ধন নেই।” অরুণ গুপ্ত কহিলেন, “আমার বিশ্বাস, যে সময়ে মোগল-সাম্রাজ্য ধ্বংসের পথে চলেছিল, খাজনা আদায় একরকম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তারা শুধু যুদ্ধ-বিগ্রহে ব্যাপৃত ছিল, সেই সময় মাসের পর মাস এই সঞ্চিত ধন, ব্যয় হয়ে যায়। এই সুড়ঙ্গের মুখ যে আকবরের প্রাসাদ অবধি যুক্ত আছে, তা আমরা জেনেছি। সুতরাং অভাবের সময়ে, অনটনের সময়ে এই ধন ব্যয় করা হতে তাদের কেউ বাধা দিতে পারেনি।” মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “আপনার অনুমান সত্য, ডাঃ গুপ্ত কিন্তু ধনাগার দখল নিয়ে প্রথমে মোহনের যে কর্মতৎপরতা প্রকাশ পেয়েছিল, তারপর আর কিছু না দেখে আমার মনেও স্বতঃতই সন্দেহ হয়েছিল যে, ধনাগারের কাহিনীর ভিত্তি নেই। শেষ দেখছি, আমার ধারণাই সত্যে পরিণত হ’ল।” সকলে হাসিয়া উঠিলেন। রায়বাহাদুর নীরবে শুনিতেছিলেন; কহিলেন, “বেশ জামাই হয়েছে তোমার, সোম। ভায়া যেন কার্তিকটি!” “কার্তিক তো শুধু সুন্দর নয়, ভাই, তিনি দেব-সেনাপতি বীর!” সন্ত্রম-স্বরে রায়বাহাদুর কহিলেন। এমন সময়ে বেয়ারা আসিয়া পুলিস-সুপারের একখানি কার্ড দিল। মিঃ সোম তাহাকে