পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ΨιψΣ Β মোহন অমনিবাস কয়েকটি কাজ আছে, যে-কাজের কৈফিয়ৎ ༩༠༧༢ ཨ་ཨ༦༧་༣་༤༣༢གི་གཙཤ আলোচ্য বিষয়টিও তেমন একটি।” - কমিশনারের মুখ ক্রোধে রক্তবর্ণ ধারণ করিতেছিল; সেদিকে ভুক্ষেপ না করিয়া মিঃ বেকার পুনশ্চ কহিলেন, “আপনারা মনে করুন, যখন আমি দস্যু মোহনকে চিনতে পেরে উদ্যত রিভলভারের মুখে তাকে বললুম, ‘পালাবার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করলেই আমি গুলি করব, তখন সে নির্ভীক মনে উন্নত শিরে আমার দিকে ফিরে দাঁড়াল। এখানে আমি একটা কথা স্বীকার করতে চাই—মোহন দস্য হলেও সে একজন ভদ্রলোক। জীবনে আমি বহু লোকের সংস্পর্শে এসেছি। কিন্তু এই দস্যুটার মত এমন একজন নির্ভীক, বীর ও ভদ্রলোকের সঙ্গে তুলনা করা যায় এমন একটিও দেখিনি। না না, স্যার, আপনি অস্থির হবেন না। আমি এই কথাই বলতে চাই, যদি মিঃ সোমের কন্যা রমা দেবীর গায়ে গুলি না লাগত, তাহলে সেদিন হয় জীবিত, নয় মৃত মোহনের দেহটাকে আমি নিশ্চয়ই সংগ্রহ করে আনতাম।” মিঃ বেকার নীরব হইলে কমিশনার কহিলেন, “তারপর বলুন?” মিঃ বেকার কহিলেন, “মোহন যখন ফিরে দাড়িয়ে তার বিশেষ ধারায় দম্ভ প্রকাশ ক’রে বললে, জগতে কারুর সাধ্য নেই তাকে তার অসম্মতিতে গ্রেফতার করে, তখনই আমি গুলি করবার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলাম। কিন্তু অকস্মাৎ রমা দেবী যে দসু্যটাকে আড়াল ক’রে দাঁড়াবেন, আমি কল্পনাও করতে পারিনি। আমি যখন দেখলাম, মোহন চঞ্চল হয়ে উঠেছে, তখনই ভাবলাম, সে পালাবার চেষ্টা করবে, আর সেই মুহুর্তেই আমি দ্বিধাহীন মনে গুলি চালালাম। কিন্তু আমি তো তখন জানি না যে, রমা দেবীকে তার নিকট আসতে দেখে মোহন চঞ্চল হয়ে উঠেছিল। তা যদি বুঝতাম, তা হ’লে নিরীহ নারী-হত্যার কলঙ্কে আমার দেহ-মন এক নিদারুণ অনুশোচনা-ভারে জর্জরিত হতো না।” মিঃ বেকারের স্বর ভারী হইয়া সহসা নীরব হইয়া গেল! কমিশনার কহিলেন, “কিন্তু তার পরেও কিছু সময় মোহন সেখানে ছিল। সে ধীরেসুস্থে রমা দেবীর দেহকে নিয়ে চলে যেতে সক্ষম হলো কি প্রকারে, আমরা এই সমস্যাটুকুই আপনাকে সরল করতে বলছি, মিঃ বেকার।” షో মিঃ বেকার ক্ষুদ্ধ কষ্ঠে কহিলেন, “কি প্রকারে? চোখের ওপর একটা নিরীহ, নির্দোষ, স্নেহময়ী বালিকার ভুলুষ্ঠিত দেহ—মনের ভিতর অনুশোচনার তীব্র জালা আমাকে বিহুল করে তুললে। রমা দেবীর জীবন শত শত দস্য মোহনের চেয়েওঁ মূল্যবান, তাকেই আমি স্বহস্তে হত্যা করেছি—এই চিস্তা আমাকে উন্মাদ ক’রে দিল। তারপর দসু মোহনের সেই উন্মাদ মূর্তি, দসু্যর দুর্বার বেগে আমার মস্তকে আঘাত করা, আমার সকল শক্তি নিঃশেষে লয় পাওয়া, এইসব একত্রে মিলিত হয়ে আমাকে অসাড়, পঙ্গু ও পক্ষাঘাত দুষ্ট করে ফেললে। তারপর দসু্য কি বললে, কি করলে, কেমন করে চলে গেল, সবই আমার নিকট স্বপ্নের মত প্রতীয়মান হতে লাগল। কিন্তু পরিশেষে যখন দেখলাম, দসু্য পালিয়েছে, আমার মনের সাময়িক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দস্য চলে গিয়েছে, তখন বলব কি স্যার, আমার মনে আত্মহত্যার চিন্তা প্রবল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কাপুরুষের মৃত্যুতে আমাদের ইংরাজ জাতি ঘৃণা করে, তা কি আজ আমাকে বলতে হবে, স্যার?” এই বলিয়া মিঃ বেকার উপবেশন করিলেন।