পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5) E o মোহন অমনিবাস করবার ভার নিয়েছে, সে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমি শুধু তাকে বুঝিয়ে দেব, মোহনের সঙ্গে বুদ্ধির খেলায়, শক্তি-পরীক্ষায় বেকার ঠিক যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী নয়—মাত্র এইটুকু রমা।” এই বলিয়া মোহন অকারণে হাসিতে লাগিল। রমা বুঝিতে না পারিয়া কহিল, “তাতে কি হবে বলো ?” “কি হবে?” মোহন মধুর স্বরে হাসিতে লাগিল। পুনশ্চ কহিল, “কি হবে না, সেই কথাটা ভেবে দেখ, রানী। বেকার অপদস্থ হবে, সারা জগতের সামনে লাঞ্ছিত হবে, চাকুরি যাবে, ভারতের প্রত্যেক নর-নারী তা’র দিকে চেয়ে ভাববে—এই অপদার্থ নিজের পাপে নিজে মরছে।” বলিতে বলিতে অকস্মাৎ মোহনের কণ্ঠস্বর গভীর হইয়া উঠিল; সে বলিতে লাগিল, “এই বেকার আর স্যানিয়েল আমাকে আজীবন উত্যক্ত করে মারছে। স্যানিয়েল যেভাবে পরাজিত হয়েছে, সে যদি সত্যই তা বোধ করে থাকে, তবে পরবর্তী জীবনকালে সে আর আমার পথে আসবে না। আর বেকার—এইবার তাকেও চিরকালের জন্য আমার চলা পথ থেকে সরিয়ে দেব।” রমা শঙ্কিত স্বরে কহিল, “এর পর আমাদের এখানে থাকা আর নিরাপদ নয়। তুমি আজই সিমলা ত্যাগ করার বন্দোবস্ত করো।” মোহন হাসিয়া উঠিল। কহিল, “কেন বৃথা ভয় পাচ্ছ, রমা। সিমলাই মোহনের পক্ষে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান।” রমা আশ্বস্ত না হইয়া কহিল, “না গো না, তুমি বুঝছ না। তুমি....” রমাকে বাধা দিয়া মোহন কহিল, “যে-দসু্যর পিছনে ভারতের পুলিস সর্বদা সজাগ হয়ে তাড়া করছে, সে কি কখনও লাটসাহেবের দ্বার-পাশে বাস করতে পারে? সে থাকবে বনে-জঙ্গলে, পোড়ো-বাড়ীতে অচেনা লোকের সঙ্গে বিরল বস্তিতে। একমাত্র এই কারণেই আজ পর্যন্ত আমাদের কেউ এখানে বিরক্ত করতে আসে নি।” রমা এইবার বুঝিতে পারিয়া আশ্বস্ত হইল। . কর্তা।” Sડ রমার মুখ আতঙ্কে ভরিয়া গেল। মোহনবিলাসের দিকে চাহিয়া কহিল,“কে এসেছে?” “তাতো জানিনে, কর্তা। তবে ভাল লোক বলেই মনে হয়, কর্তা” বিলাস অভিমত পেশ করিল। _&لاہ’’ বলেছে। বাবুকে বাইরের ঘরে বসা বিলাস, আমি আসছি।” (ළු) মোহন ছদ্মবেশে ছদ্মনামে সিমলায় বাস করিতেছিল। বিলাস বাহির হইয়া যাইবার অব্যবহিত পরে, সে ড্রইংরুমে উপস্থিত হইয়া দেখিল, একটি বিশিষ্ট ধরণের ভদ্রলোক অপেক্ষা করিতেছেন! মোহন প্রথম দৃষ্টিতেই তাহকে পুলিসের লোক বলিয়া চিনিতে পারিল। কিন্তু কিছুমাত্র বিচলিত না হইয়া দ্বার-মধ্যস্থলে দাঁড়াইয়া কহিল, “আপনি কাকে চান?” ভদ্রলোক মৃদু হাসিয়া কহিলেন, “আপনাকে। আমি ঠিকই চিনেছিলাম, শুধু আমার সহকারীরা সন্দেহ প্রকাশ করে দু’টো দিন মিছামিছি পিছিয়ে দিলে।”