পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার মোহন כי שיסי বাধা দিয়া মিঃ বেকার কহিলেন, “কিছুমাত্র ফল হতো না। আপনি আগে পত্ৰখানা পাঠ করুন।” মিঃ বাসু পত্ৰখানি পাঠ করিতে লাগিলেন। পত্ৰখানি এইরূপ—ডিয়ার বেকার’ আমি ধরে নিলুম যে আপনি আমার ইচ্ছামত, অনুরোধ মত কাজ করতে অনিচ্ছুক। আমি আপনাদের প্রত্যেকটি কথোপকথন শুনেছি। সুতরাং এইবার আপনাকে যুদ্ধে আহ্বান করতে আমার আর কোন দুঃখ নেই। তবে শুনুন, মিঃ বেকার। আমি আপনার জন্য এখন হ’তে ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করব। এর মধ্যে আপনি আমাকে গ্রেফতার করতে পারেন উত্তম। নচেৎ আমি যে-প্রতিজ্ঞা করেছি, তা পালন করব। আমার প্রতিহিংসা কতখানি ভীষণ, কিরূপ ভয়বাহ হবে, আপনি তা’ কল্পনা করবার বৃথা চেষ্টা করবেন না। কারণ মোহন যখন তার প্রতিহিংসা সাধন করে, তখন বিধাতা পর্যন্ত ভয়ে চমকে ওঠে। আমি নিরুপায়। আপনিই আমাকে এই পথে টেনে এনেছেন। আপনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, অতএব আপনাকেই তার প্রতিফলন গ্রহণ করতে হবে। আপনাকে আমি ছয় সপ্তাহের সময় দিলুম। ছয় সপ্তাহ। কারণ এই সময়টুকু আমার বিশেষ প্রয়োজন, আমাকে শাস্ত করবার জন্য, আমাকে সুখী করবার জন্য। অতএব আপনি এই সময়টুকু নির্বিবাদে নিঃসঙ্কোচে, নিৰ্ভয়ে যেমন ইচ্ছে তেমনভাবে ব্যয় করতে পারেন। তারপর, হ্যা, তারপর আমি প্রতিশোধ গ্রহণ করব, এমনভাবে আপনার ওপর আমার প্রতিহিংসাবহ্নি নিক্ষিপ্ত হবে, যার জ্বালায়, যন্ত্রণায়, বেদনায়, আপনি দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সারা জগতে ছুটোছুটি করে বেড়াবেন। কিন্তু আমি এখন থেকেই আশ্বাস দিয়ে রাখছি, সে জ্বালা আপনার নিরাময় হবে না। এখনও সময় আছে, মিঃ বেকার, এখনও আমি আপনাকে মার্জনা করতে পারি। কিন্তু এরপর আর উপায় থাকবে না। অতএব— ইতি আপনার চির-শক্ৰ + মোহন। মিঃ বাসুপত্ৰখানি পাঠ করিয়া মিঃ বেকারের হাতে প্রত্যপণ করিলেন। তাহার মুখভাব শুষ্ক হইয়া উঠিল। তিনি মিঃ বেকারের দিকে চাহিয়া দেখিলেন, মিঃ বেকার গভীরভাবে চিত্তামগ্ন হইয়াছেন। പ് অপূর্ব শোভা-সৌন্দর্য এই দুইটি মানবের নিকট একান্তভাবে তুচ্ছ হইয়া গিয়াছিল। তাহারা সব কিছু আকর্ষণ হইতে মন মুক্ত করিয়া গভীর চিন্তা-প্রবাহে ভাসিয়া যাইতেছিলেন। এমন সময় মিঃ বেকার কহিলেন, “আপনি লজ্জিত হচ্ছিলেন, মিঃ বাসু যে, আপনি যদি কোন যোগ্যতর ব্যক্তিকে মোহনের উপর পাহারা রাখতেন, তাহলে সে পালাতে সক্ষম হতো না; কিন্তু এখন তো বুঝলেন, এই অসমসাহসিক দস্য জগতের কোন কিছুকে ভয় করে না?” এই বলিয়া তিনি সহসা ভূ-কুঞ্চিত করিয়া কিছু চিন্তা করিয়া পুনশ্চ কহিলেন, “আমি একটা বিষয়ে বিস্মিত হচ্ছি যে, মোহন এই দুখানা পত্রে তা’র স্ত্রীর কথা, অর্থাৎ রমা দেবীর কথা একবারও কেন উল্লেখ করে নি ? সত্যই কি তার স্ত্রী পীড়িতা এই অজুহাতে সিমলায় বাস করছিল ?” 1-ن