পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন অমনিবাস 8ף סי বার বার মিঃ বেকারকে—তথা গভর্নমেন্টকে জানিয়ে বলেছি, অতীত নিয়ে যদি আপনারা আর নাড়াচাড়া না করেন, তবে ভবিষ্যতের জন্য আপনাদের কিছুমাত্রও দুশ্চিত্তার হেতু হবো না আমি। কিন্তু তারা আমার প্রত্যেকটি প্রস্তাব ঘৃণাভরে উপেক্ষা করেছেন। তা’ এই বলিয়া মোহন চাহিতে দেখিল, রমা আগ্রহভরে তাহার কথা শুনিতেছে। মোহনকে নীরব হইতে দেখিয়া রমা কহিল, “বলো ?” মোহন বলিতে লাগিল, “এর জন্যও আমার কোন অভিযোগ ছিল না। আমি মনে এই ভেবে সাত্ত্বনা পেয়েছিলাম যে, আমি যদি কোন অন্যায় কাজ না করি, তবে আমার পিছনে ছোটবার ওদের বিশেষ গরজ থাকবে না। কিন্তু....” মোহন পুনশ্চ নীরব হইলে, রমা কহিল, “শেষ করো।” “হা, করি। তুমি জানো রানী, তোমাকে লাভ করবার পরম সৌভাগ্যের পর, আমি কোন কাজই করি না,—না সৎনা অসৎ। কিন্তু যে-দুৰ্বত্ত তোমাকে গুলি করবার দুঃসাহস দেখায়, তাকে শাস্তি না দিয়ে আমি যদি নীরব থাকি, তবে আমার অস্তিত্বেরও শেষ হয়ে যায়।” রমা কহিল, “কিন্তু মিঃ বেকার ইচ্ছা করে গুলি করেন নি?” “তা আমি বুঝি রানী। কিন্তু তার বিশেষ সতর্ক হওয়া কর্তব্য ছিল। যে সময়ে আমি পালাবার চিন্তা মনেই ঠাই দিই নি, সে সময়ে এক কল্পিত অজুহাতে যে দু-দুরাত্মা এমন ঘৃণিত কাজ করতেও সক্ষম হয়, তাকে আমার সাজা দিতেই হবে। দসু মোহনের স্ত্রী’র অঙ্গে গুলি মারার দুঃসাহস যেন ভবিষ্যতে কেউ কল্পনা করতেও না পারে, তেমন কিছু আদর্শ আমি এই সব লোকগুলোর সামনে রাখতে চাই। রমা ভীত কষ্ঠে কহিল, “কিন্তু সেজন্য তো সহস্র পথ খোলা রয়েছে, তবে তুমি এই ভীষণ পথ বেছে নিলে কেন ?” “ভীষণ!” এই বলিয়া মোহন মধুর স্বরে হাসিয়া উঠিল। পুনশ্চ কহিল, “অপরাধের ভীষণতার তুলনায় এই পথ আমার কুসুমাস্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে, রমা। আচ্ছা, তুমি কি আমার শক্তির ওপর আস্থা হারিয়েছ? সত্যি করে বলো, রানী।” ১ী রমা ধীর স্বরে কহিল, “না।” #To মোহন উল্লসিত স্বরে কহিল, “তবে আমার অনুরোধ, এই তুচ্ছবিষয় নিয়ে তুমি আর মাথা ঘামিও না। & রমা বহুক্ষণ স্তব্ধ হইয়া বসিয়া থাকিয়া কহিল, “আমি কোথায় থাকব ?” “কেন। এই দুর্গ-প্রাসাদে থাকবে তুমি। তোমাকে পাহারা দেবার জন্য আমি বিশজন বিশ্বস্ত অনুচরকে আদেশ দিয়েছি। তারা কাল সকালে এসে আপন আপন দায়িত্বভার স্কন্ধে তুলে নেব। তাছাড়া সর্বসাকুল্যে আমার এক সপ্তাহের বেশী দেরি হবে না! বলো, তুমি মত দিলে ?” মোহনের আকুল স্বরে, অনুমতি প্রার্থনায় বিগলিত হইয়া রমা কহিল, “আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া চলে না ?” “নিশ্চয়ই চলে। কিন্তু এই পার্বত্য-স্থানে যে আশাতীত উন্নতি তোমার হয়েছে, তা’র