পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার মোহন *>)*\ (! ব্যাঘাৎ ঘটবে। তোমার সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হতে, তোমার পূর্ব-স্বাস্থ্য ফিরে পেতে এখনও কিছুদিন সময় লাগবে, রানী। একমাত্র এই কারণেই আমি এমন নিরাপদ স্থানে তোমাকে এনেছি।” - রমা বিষগ্ন মুখে কহিল, “তুমি যে-বিপদের মুখে ছুটে চলেছে—আমি কি করে এত দূরে থেকে দিন কাটবো বলতে পারো ? ভেবে ভেবে নিশ্চয়ই আমি পাগল হয়ে যাবো দেখো।” মোহন রমাকে বাহুপাশে ধরিয়া হাসিমুখে কহিল, “আমার ভয়াতুর কপোতী। দসু্যর স্ত্রী হয়ে এতখানি অসহায়, এমন আকুল হ’লে চলবে কি ক’রে, রমা ?” রমা ঝঙ্কার তুলিয়া কহিল, “না, আমি কোন কথা শুনতে চাইনে, আমি তোমাকে ছেড়ে একা থাকতে পারব না বলে দিলুম। তাতে তুমি সম্মত না হও, মরতে তো আর বাধা নেই।” এই বলিয়া রমা অভিমান-ভরে কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয়া গেল। মোহন ক্ষণকাল স্নিগ্ধ দৃষ্টিতে চাহিয়া থাকিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল এবং বাহির হইয়া যাইবার পূর্বক্ষণে শুনিল, বিলাস ডাকিতেছে, “কর্তা!” মোহন সবিস্ময়ে কহিল, “ফিরেছিস, বিলাস? আয়, এই ঘরে আয়।” এসেছি, কর্তা।” মোহন মৃদু হাসিয়া কহিল, “তা তো দেখতেই পাচ্ছি, বিলাস। আচ্ছা তুই একটু অপেক্ষা কর, আমি আসছি।” এই বলিয়া মোহন দ্রুতপদে রমার উদ্দেশ্য গমন করিল। (రి) মোহন পুনশ্চ যখন ড্রইংরুমে ফিরিয়া আসিল, দেখিল বিলাস তন্দ্রার ভারে ঢুলিতেছে। মোহনের পদশব্দে অকস্মাৎ বিলাস চমকিত হইয়া বিদ্যুদ্বেগে উঠিয়া দাঁড়াইল। মোহন একখানি কোঁচে উপবেশন করিয়া কহিল, “তারপর?” বিলাস সন্ত্রমনত মস্তকে দাড়াইয়া কহিল, “নোট-ঘর পুলিসে পুলিসে ছেয়ে গেছে “হু, তারপর?” মোহন প্রশ্ন করিল। । இ’ বাধা দিয়া মোহন কহিল, “বেকার সাহেব বল, বিলাস।” “আমারই দোষ হয়েছে। এইবার বলো। বোকার সাহেব কি করছে?” মোহন শাস্ত স্বরে কহিল। বিলাস কহিল, “বোকার সাহেবের মুখ লাল হাড়ির মত দেখতে হয়েছে। আমি লেগে গেল আর অমনি বোকার সাহেব লাল চোখ বার করে ইঞ্জিলিতে যে কি-সব বলতে লাগল, বুঝলাম না, কর্তা।”