পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Վ) Ղ Ե- মোহন অমনিবাস “তা’ বেশ করেছিস। গাড়ীটা এখন কোথায় ?” - “বাইরে আছে, কর্তা। রামখেলান পরিষ্কার করছে।” এই বলিয়া বিলাস ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল। রম বলিল, “বিস্মিত? আমি অভিভূত হয়ে পড়েছি। আমি শুধু ভাবছি কলকাতার পুলিস এখনই না এখানে উপস্থিত হয়।” ^: “হবে না।” মোহন দৃঢ় স্বরে কহিল, “কারণ বিলাস মোটরের নম্বর প্লেট বদলে দ্বারের বাহির হইতে বিলাস কহিল, “হা এনেছি, কর্তা। আর গাড়ীর রঙও বদলে ফেলেছি।” মোহন সশব্দে হাসিয়া উঠিল এবং রমার নিকটে বসিয়া চুপিচুপি কহিল, “আমার একটি প্রার্থনা আছে।” রমা কৃত্রিম কুপিত স্বরে কহিল, “যাও, তুমি ভারি দুষ্টু।” এই বলিয়াই হাসিয়া দুই হাতে মুখ আবৃত করিল। (S8) কমিশনার ও উচ্চ-কর্তৃপক্ষের সহিত পরামর্শ শেষ করিয়া মিঃ বেকার সেদিন রাত্রে যখন শয়ন করিলেন, তখন রাত্রি দুইটা বাজিয়া গিয়াছে। শ্রান্ত, ক্লান্ত, উদ্বিগ্ন মিঃ বেকার শয্যায় শয়ন করিবামাত্র নিদ্রিত হইয়া পড়িলেন। পরদিন প্রভাতে তিনি সর্বাগ্রে জাগরিত হইয়া সংবাদ-পত্ৰ আনিতে বেয়ারাকে আদেশ দিলেন। সংবাদপত্র আসিলে তিনি বিস্ফারিত দৃষ্টিতে চাহিয়া পাতার পর পাতা উল্টাইয়া যাইতে লাগিলেন। বাঙলার ডাক’ নামক যে সংবাদ-পত্রে পূর্বে মোহনের প্রত্যেকটি পত্র বাহির হইয়াছে, সেই কাগজখানি তিনি নিবিষ্ট চিত্তে পরীক্ষা করিলেন, কিন্তু কোথাও মোহনের লিখিত সংবাদ দেখিতে না পাইয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া ভাবিলেন, “যাক বাঁচলুম। এর উপর জনসাধারণ যদি এই বিষয়ে নিয়ে হৈ চৈ বধিয়ে তুলত, তা হলে আর বিন্দুমাত্রও শাস্তি থাকত না।’ ക് মিঃ বেকার ব্রেকফাস্ট সারিয়া সজ্জিত হইতেছিলেন, এমন সময়ে খানসামা প্রবেশ করিয়া জানাইল যে, মিঃ স্যানিয়েল আসিয়াছেন। & মিঃ বেকার মিঃ স্যানিয়েলকে অপেক্ষা করিতে বলিয়া পাঠাইয়া দ্রুতহস্তে বেশভুষা শেষ করিয়া ফেলিলেন। মিঃ বেকার ড্রইংরুমে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, মিঃ স্যানিয়েল গম্ভীর মুখে বসিয়া রহিয়াছেন। তিনি কহিলেন, “নতুন সংবাদ কিছু আছে?” মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “এর চেয়েও নতুন, মিঃ বেকার?” এই বলিয়া মৃদু হাসিয়া উঠিলেন। মিঃ বেকার হাস্যমুখে কহিলেন, “একটা সুসংবাদ আছে। দসু সংবাদপত্রে কোন রিপোর্ট পাঠায় নি।”