পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎյԵ- 8 মোহন অমনিবাস | মিঃ বেকার সেদিন করেন্সি-অফিসের সম্মুখে দাড়াইয়া কয়েকজন অফিসারের সহিত কথা বলিতেছিলেন। তিনি বলিতেছিলেন, “ক্রমশ অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যাবার উপক্রম দিন। কোন লোককে ফুটপাতের নিকট দাঁড়াতে দিতে নিষেধ করে আদেশ জারি করুন।” অফিসার কহিলেন, “বিপরীত দিকের ঐ দীঘির পথ সম্বন্ধে কি কি আদেশ আপনার ?” মিঃ বেকার চিন্তিত মুখে কহিলেন, “পথ বন্ধ করা চলবে না, তবে ওখানেও পুলিসপাহার সমবেত রাখা দরকার। প্রত্যেক পথচারিকে যেতে দেওয়া হোক; কিন্তু কাউকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। তা হ’লেই এখানকার জনতা আয়ত্তে আসবে।” নির্দেশ-প্রাপ্ত অফিসার আদেশ মত কার্য করিতে গমন করিলেন। অনতিবিলম্বে যে সব কৌতুহলী ব্যক্তি অনাবশ্যক দাড়াইয়াছিল তাহারা পুলিসের তাড়া খাইয়া ছুটাছুটি করিয়া পলাইতে লাগিল। কিছু সময় পরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়া আসিল। কারেন্সি অফিসের সম্মুখভাগ জনতামূক্ত হইল সত্য, কিন্তু অদূরে অন্যান্য ফুটপাথগুলি জনতায় পূর্ণ হইয়া গেল। মিঃ বেকারের দৃষ্টি সেদিকে পড়িলে, তিনি মৃদু হাসিয়া কহিলেন, একজন সাজেন্ট আসিয়া মিঃ বেকারকে অভিবাদন করিয়া কহিল, “কমিশনার আপনাকে স্মরণ করেছেন।” মিঃ বেকার সেখানে উপস্থিত অফিসারগণকে প্রয়োজনীয় আদেশ-উপদেশ দিয়া মোটরে আরোহণ করিলেন এবং অল্প সময় পরে কমিশনারের কক্ষে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, সেখানে বাঙলা গভর্নমেন্টের একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী অপেক্ষা করিতেছিলেন। , কমিশনার বিরক্ত কষ্ঠে কহিলেন, “এই দসটা আমাদের সবরকমে অপদস্থ করেছে। এ অবস্থা সত্যই অসহনীয় হয়ে উঠেছে, মিঃ বেকার! এই দস্যুটার কোন সংবাদ যাতে সংবাদ-পত্রে প্রকাশিত না হয়, সেই বন্দোবস্ত করা যায় কি না বলুন ?” মিঃ বেকার কহিলেন, “ফল তাতে আরও খারাপ হবে, স্যার। সাধারণে যখন বুঝতে পারবে যে, আমরা সংবাদ-প্রকাশ নিষেধ করেছি, তখন নানা গুজবে কান-পাতা দায় হয়ে উঠবে। তার চেয়ে....” * السلام - %"C" , দেখিয়ে ভিতরে ভিতরে প্রস্তুত থাকা উচিত।” এই বলিয়া মিঃ বেকার উচ্চপদস্থ অফিসারের দিকে সমর্থন-প্রাপ্তির আশায় চাহিলেন। অফিসার কহিলেন, “আপনার যুক্তি ঠিক হ’ত যদি দসু মোহন স্বয়ং এ-সংবাদ প্রচার না করত। এক্ষেত্রে আপনি গোপন-আয়োজন বলতে কি বোঝাতে চান ?” মিঃ বেকার কহিলেন, “দসু মোহন দশ তারিখে লুঠ করবে—এই দাবি জানিয়েছে। আজ সাত তারিখ, এখনও তিন দিন বাকি আছে, অতএব যা-কিছু প্রকাশ্য আয়োজনের প্রয়োজন হতে যখন তিন দিন দেরি আছে, তখন এখন থেকে হৈ চৈ করবার বা কারেন্সিঅফিস পুলিস ফোর্স দিয়ে ঘিরে ফেলবার কি সার্থকতা আছে, বলুন তো? আমার মনে হয়, আমরাই এই তুচ্ছ ব্যাপারটাকে বিরাটভাবে গড়ে তুলছি।”