পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার মোহন ՎԶ Ե Գ আবাহন করিয়া কহিলেন, “কি চান আপনারা ?” মোহন হাসিয়া কহিল, “নতুন ডিজাইনের হীরক অলঙ্কার চাই। আছে?” মালিকের মন আনন্দে নৃত্য করিয়া উঠিল। তিন ব্যগ্র স্বরে কহিলেন, “আছে বই কি, স্যার! আপনারা ভিতরে আসুন।” একমাত্র রাজা-মহারাজা ব্যতীত এমন সম্মান মালিক কোন সাধারণ ব্যক্তিকে কখনও দেন নাই। মালিকের দৃঢ় বিশ্বাস হইয়াছিল যে, ইহারাও কোন করদ-রাজ্যের অধীশ্বর ও অধীশ্বরী হইবেন! - বসিয়া মোহন কহিল, “আমাদের সময় খুব কম; একটু শীগগির দেখালে বাধিত হবো।” সমগ্র রাজপুতানার মধ্যে এমন একটি প্রথম শ্রেণীর জুয়েলারী ফার্ম খুব কমই আছে। দোকানের মূলধন কয় কোটি টাকা, তাহা অনুমান করা অতি বড় জহুরীর পক্ষেও শক্ত বলিয়া বিবেচিত হইত। অল্প পরে থরে থরে বহু হীরক-অলঙ্কার মোহন ও রমার সম্মুখে সজ্জিত হইল। রমার দুই চক্ষু আনন্দ উত্তেজনায় তীব্র হইয়া উঠিল। সে বিশেষ একটি হীরক-কঠি হাতে লইয়া বারবার তাহা পরিদর্শন করিয়া কহিল, “ভারী সুন্দর! আশ্চর্য এর গঠন-চাতুর্য। এমন সুন্দর গহনা সত্যই আমি কখনও দেখিনি।” মোহনের মুখ আনন্দোজ্জ্বল হইয়া উঠিল। সে মালিকের দিকে চাহিয়া কহিল, “একটা বিল ক’রে দিন। এই কঠিটা আমি নিলাম।” দোকানের কর্তা পরম বিস্মিত ও অভিভূত হইলেন। তিনি ক্ষণকাল হতবাক থাকিয়া কহিলেন, “এই কঠিআপনি নিলেন? এটা যে জয়পুরের রাজকুমারীর জন্য প্রস্তুত করেছিলাম। যাই হোক, এর দামটা....” মোহন তীব্র স্বরে কহিল, আপনি মিথ্যে সময় নষ্ট করেছেন আমাদের। আপনি আমার অনুরোধ শুনেছেন। আমায় বিল দিন, আমি দামটা দিই।” இ. প্রবেশ করিলেন। ദ് কিছু হয় ?” (y মোহন হাসিয়া কহিল, “আমার রানীর অঙ্গে সাধারণ জিনিস কিমানায়, রানী? অসম্ভব সৌভাগ্য যা’র ভাগ্যে সফল হয়েছে, তার কাছে দ্বিতীয় অসম্ভব থাকতে পারে কি?” এমন সময়ে দোকানের মালিক, বিল ও হীরক-কঠি লইয়া উপস্থিত হইলেন। মোহন হাসি মুখে বিলটি হাতে লইয়া একবার মাত্র টাকার অঙ্কে দৃষ্টি বুলাইয়া, একখানি ব্যাঙ্কগ্যারান্টিযুক্ত চেক লিখিয়া দোকানের মালিকের হস্তে তুলিয়া দিল। মালিক চেকখানির সহি দেখিয়া বজাহতভাবে ক্ষণকাল চাহিয়া থাকিয়া কহিলেন, প্রবলভাবে বাধা দিয়া মোহন কহিল, “না, না আপনি কিছুমাত্র ব্যস্ত হবেন না। আমি