পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎԶԵ-Ե- মোহন অমনিবাস অত্যন্ত খুশি হয়েছি আপনার ব্যবহারে। এখন দয়া করে একটা কাজ করুন। আমার দোকানের মালিক শশব্যস্ত হইয়া বাহির হইয়া গেলেন। দোকানের অন্যান্য কর্মচারীরা যখন বিশিষ্ট খরিদারটি এমন কোন ব্যক্তি হইতে পারেন এরূপ চিন্তায় অস্থির হইতেছিল, তখন মোহন রমার হাত ধরিয়া দোকান হইতে বাহির হইয়া পড়িল এবং মোটরে আরোহণ করিয়া দোকানের মালিককে কোন কথা বলিতে অবসর না দিয়া, সে যে খুশি হইয়াছে এবং পুনরায় পদধূলি দান করিয়া তাহাকে কৃতাৰ্থ করিয়া যাইবে তাহা মোটর চলিতে আরম্ভ না করা পর্যন্ত বারবার জানাইয়া চলিয়া যাইল। মোটর জয়পুর ছাড়িয়া যখন আজমীঢ়ের উদ্দেশ্যে উল্কাবেগে ছুটিতেছিল, তখন রমা হাস্যমুখে কহিল, “দোকানের মালিকটি অত্যন্ত ভদ্র। আমাদের এমন আদর-যত্ন করলেন, যেন আমরা কাশ্মীরের মহারাজা-মহারানী বা হায়দরাবাদের নিজাম ও নিজাম-পত্নী এমন কোন লোক; কিন্তু আসলে ব্যাপার কি বল তো?” মোহন হাসিয়া কহিল, “ও ব্যাপার যাই হোক, হীরক-কঠি তোমার পছন্দ হয়েছে তো, রানী?” রমা কহিল, “তখন হয়েছিল; তবে এখন মনের সে আনন্দ আর খুঁজে পাচ্ছি না।” মোহন মৃদু হাসিয়া কহিল, “আমার পরিচয় না জানা পর্যন্ত। অর্থাৎ কি নামে চেক সই করেছি, দোকানের মালিক টাকা পাবেন কি-না, এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত না হওয়া পর্যন্ত তো রানী?” রমা শুষ্ক-হাসি হাসিয়া কহিল, “তুমি কি অন্তর্যামী যে, সব কথা এমন ভাবে ধরতে পারো ? সত্যি বল না, কেন তিনি চেকে নাম-সই দেখে আমনভাবে বিস্মিত হয়ে পড়লেন?” মোহন কৃত্রিম মানমুখে কহিল, “তুমি আমাকে এখনও অবিশ্বাস করো, রানী?” “না, করি না। যদি করতাম, তা’ হ’লে কখনও এমন প্রশ্ন করতে পারতাম না, সে কথা তুমি জানো। তা’ ছাড়া, আমার এই বিশ্বাস অমর হয়ে থাক যে, আমার গা ছুয়ে যে শপথ তুমি করেছ, তা তুমি কখনও অবহেলা করতে পারবে না। আর একমাত্র এই কারণেই আমার এই উৎকণ্ঠা।” of আছে, রানী יין இ. রমা ক্ষণকাল অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে চাহিয়া থাকিয়া কহিল,"তার অর্থ এই যে, তুমি তাকে ঠেকিয়েছো।” “তুমি তাই বিশ্বাস করো, রানী?” মোহন আহত স্বরে জিজ্ঞাসা করিল। রমা স্নান চক্ষু দুটি তুলিয়া কহিল, “না, করি না। কিন্তু...” “আমি কাশ্মীরের মহারাজা নই—এই তো, রমা ? তা’ হোক; আমি মহারাজা নই সত্যই কিন্তু কাশ্মীরের মহারাজার নাম নিতে পারবো না বা সেই নামে দিল্লী ব্যাঙ্কে হিসেব খুলতে পারব না, এমন কোন আইন আছে কি, রানী? এই বলিয়া মোহন মৃদু মৃদু হাসিতে লাগিল। অকস্মাৎ রমা অধীর আনন্দে ভাঙ্গিয়া পড়িয়া মোহনের বক্ষে লুটাইয়া পড়িয়া কহিল,