পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮৯

মোহন অমনিবাস סיפסי “কেন এমন প্রতিজ্ঞা তুমি করতে গেল বল তো? আমি যে কিছুতেই মনকে প্রবোধ দিতে পারছি না এবার! আমার মনে হচ্ছে, যেন এবার তুমি....” মোহন সন্ত্রম-দৃষ্টিতে পত্নীর মুখের দিকে চাহিয়া কহিল, “আমার ভয়াতুর কপোতী।” রমার আবেগ বিহুল মুখখানি মোহনের বক্ষের উপর ন্যস্ত করিয়া পড়িয়া রহিল। তখন মোটর উল্কাবেগে আজমীঢ় শহর অতিক্রম করিয়া পার্বত্য-পথ অভিমুখে ছুটিতেছিল। (১৭) কলিকাতার অফিসার-মহলে যে-তুমুল আলোড়ন উঠিতে লাগিল, যে বিস্ময় ও উদ্বেগের আভাস দেখা দিতে লাগিল, তেমন সঙ্কটের মুখ কেহ কখনও দেখেন নাই। কারেন্সি-অফিস দিবালোকে পূর্বাহুে সদন্ত ঘোষণা করিয়া এই দস্য কর্তৃক লুষ্ঠিত হইবে, ইহা যেমন অবিশ্বাস্যকর ঘটনা, তেমনি অদ্ভুত। বহু ইংরাজ অফিসার এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষার ভাব দেখাইয়া হাসিলেন। তাহারা মন্তব্য করিলেন যে, এই দস্য মিঃ বেকারকে পরিহাস করিয়াছে। অতীতে তাহার হস্তে মিঃ বেকারের বহু পরাজয় ঘটিলেও, একমাত্র তিনিই তার তীক্ষ্ণ প্রতিভা-বলে এই দস্য মোহনকে একবার গ্রেফতার করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন এবং এই দস্যুর স্ত্রী তাহারই হস্তে আহত হইয়াছিল। অনেকে ইহাও ভাবিলেন যে, তাহার পত্নী-লাঞ্ছনার প্রতিশোধ লইবার জন্যই সে মিঃ বেকারকে লাঞ্ছনা করিতে চলিয়াছে, তাহার মধ্যে কোন সন্দেহ থাকিতে পারেন না। তাহা হইলেও সে যে-দাবি করিয়াছে, তাহা যে সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব ও অবিশ্বাস্য ব্যাপার, ইহাতেও কাহারও সন্দেহ থাকা উচিত নহে। উপরিওয়ালা কর্তৃপক্ষের এইরূপ মনোভাবে কমিশনার সাহেব অত্যন্ত বিপন্ন হইয়া উঠিলেন। একদিকে মিঃ বেকারের আন্তরিক উদ্বেগ, অন্যদিকে নিদারুণ উপেক্ষা, উভয় এই অভিমত, মিঃ বেকার। তারা চান না যে, আমরা বাহুল্যভাবে কোন কিছু আয়োজন করি। তারা আদৌ বিশ্বাস করতে চান না।” ざー。 মিঃ বেকার মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়া উঠিল, তিনি কহিলেন, “আপনার আমিও তেমন দৃঢ়ভাবে এই অবিশ্বাস্য ব্যাপারটি বিশ্বাস করতে পারছি নে। কারণ...” মিঃ বেকার বাধা দিয়া কহিলেন, “কারণ থাক, স্যার। কিন্তু আমার দৃঢ় অভিমত এই যে, এই ব্যাপারের ভিতর তিলমাত্র সন্দেহেরও অবকাশ নেই।” এই বলিয়া কিছু সময় নীরবে থাকিয়া পুনশ্চ কহিলেন, “তা’ হ’লে এই দাঁড়াল যে, আপনি এই ব্যাপারের আর কোন প্রতিকারের আয়োজনে সময় নষ্ট করবেন না?” “না না, আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না, মিঃ বেকার। আমাদের প্রত্যেকটি ফাক, প্রত্যেকটি পথ আবদ্ধ করতে হবে। কিন্তু....” স্যার ?” কি এই