পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯৩

# মোহন আমনিবাস 8 באגסי কহিলেন, “এইবার কেরানীকে তলব করুন।” মস্তকে দীর্ঘ টাক, মুন্ডিত-শ্মশ্র ও গোফধারী এক ব্যক্তি মিঃ বেকারের সম্মুখে উপস্থিত হইলে তিনি কহিলেন, “আচ্ছা, আপনি যান।” - - বিস্মিত কেরানী একবার কন্ট্রোলার ও অন্যবার মিঃ বেকারের মুখের দিকে চাহিয়া আশ্বস্ত চিত্তের প্রস্থান করিল। কস্ট্রোলার কহিলেন, “এর পর বেয়ারাদের দেখানো প্রয়োজন আছে ?” মিঃ বেকার গম্ভীর মুখে কহিলেন, “নিশ্চয়ই আছে, স্যার। আমি প্রত্যেক বেয়ারাকে পৃথক ভাবে পরীক্ষা করতে চাই।” প্রথম ও দ্বিতীয় বেয়ারাকে কোন প্রশ্ন না করিয়াই মিঃ বেকার ছাড়িয়া দিলেন ; কিন্তু তৃতীয় বেয়ারাকে দেখিয়া তিনি সবিশেষ বিস্মিত হইলেন। ক্ষণকাল তাহার মুখের দিকে চাহিয়া থাকিয়া কহিলেন, “তোমার নাম কি হে ?” বেয়ারা ভীত কষ্ঠে কহিল, “হুজুর মা-বাপ...” বাধা দিয়া তীক্ষুস্বরে মিঃ বেকার কহিলেন, “তোমার মা-বাপ যে অসংখ্য তা আমি জানি; কিন্তু তোমার নামটি কি তাই জানতে চাইছি। “রামধন, হুজুর।” বেয়ারা জবাব দিল। “রামধন। বাঃ বেশ নামটি তো। কতদিন কাজ করছ এখানে ?” মিঃ বেকার প্রশ্ন করিলেন। রামধন গম্ভীর হইয়া কিছুক্ষণ মনে হিসাব করিয়া কহিল, “প্রায় দিন সাতেক হবেন, হুজুর” “হবেন বৈ-কি, নিশ্চয়ই হবেন। কিন্তু তার আগে কোন অফিসকে ধন্য করতে, রামধন?” মিঃ বেকার কঠিন স্বরে প্রশ্ন করিলেন। রামধন কহিল, “হুজুর আমি অনেক জায়গাতেই কাজ করেছি।” “বেশ করেছ। শেষবার কোথায় করেছ, সেই কথাটাই বল দেখি, রামধন ?” মিঃ রামধন কিছুমাত্র অধীর না হইয়া কহিল, “শেষে আমি একজন জমিদার فيين في مس. বহু বৎসর ধরে কাজ করেছি।” ക് “জমিদারটির নাম কি, রামধন ?” মিঃ বেকার প্রশ্ন করিলেন। রামধন কিছুমাত্র চঞ্চলতা প্রকাশ না করিয়া কহিল, “বিক্রম সিং হুজুর।” “কোথাকার জমিদার তিনি ?” মিঃ বেকার ভূ-কুঞ্চিত করিয়া প্রশ্ন করিলেন । রামধন কহিল, “সাধনপুরের জমিদার তিনি।” একবার দেখি, রামধন।” এই কথা শুনিয়া রামধনের মুখ শুকাইয়া গেল। সে কহিল, “হাত দেখবেন, হুজুর ?” মিঃ বেকার আচম্বিতে তাহার ডান হাতখানি ধরিয়া ফেলিয়া কহিলেন, “হ্যা, বাবা। কথাটা বাঙলা, তোমার মাতৃভাষাও বটে। তবে বুঝতে বেগ পাওয়া একটু বিস্ময়কর নয়