পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার মোহন Woo & +? এই বলিয়া তিনি অভিনিবেশ সহকারে একবার ডান হাত ও অন্যবার বাম হাত পরীক্ষা করিয়া দেখিতে লাগিলেন। পরে কষ্ট্রোলারের দিকে রহস্যময় দৃষ্টিতে চাহিয়া কহিলেন, “আমি যে-সন্দেহ করেছিলাম অবশেষে তাই সত্যি প্রমাণিত হ’ল।” মিঃ বেকার সহসা রামধনের দিকে চাহিয়া গভীর স্বরে কহিলেন, “তারপর বিলাস, তোমার কর্তাটি কোথায় বল তো?” প্রশ্ন শুনিয়া রামধন কহিল, “কাকে আপনি বিলাস বলছেন ? আমি রামধন, বিলাস নই। কর্তা আবার কে ?” - মিঃ বেকার অকস্মাৎ লোকটির দুই পকেট দুটি হাত ভরিয়া দিয়া, দুটি রিভলভার লাহির করিয়া আনিলেন। তাহা দেখিয়া করেন্সি-কষ্ট্রোলারের মুখ সাতিশয় বিস্ময়ে পরিপূর্ণ ইয়া, চক্ষুদ্বয় বিস্ফোরিত হইয়া উঠিল। তিনি কহিলেন, “সর্বনাশ। এ আবার-কি?” মিঃ বেকার বিলাসের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “চালাকি করবার চেষ্টা কোরো না, বিলাস, চুপ ক’রে দাড়াও।” কন্ট্রোলারের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “এই নিরীহ ভাবাপন্ন ব্যক্তিটি একজন দুর্দান্ত দসু্য। সুবিখ্যাত দস্য মোহনের অতি বিশ্বস্ত অনুচর, সহকারী এবং অনুগত ভৃত্য। ভগবানকে ধন্যবাদ যে, এর দেখা এত সহজে পাওয়া গেল”। এই বলিয়া মিঃ বেকার বিলাসের দিকে চাহিয়া পুনশ্চ কহিলেন, “দুহাত একত্র করো, বিলাস।” বিলাস মুখ কালবৈশাখীর মত গম্ভীর করিয়া কহিল, “কেন, কি হবে ?” মিঃ বেকার রিভলভার উদ্যত করিয়া বলিলেন, “আমি দু’বার আদেশ দিই না, বিলাস। যা আদেশ করেছি, অবিলম্বে তা পালিত হয়েছে—দেখতেই অভ্যস্ত আমি।” বিলাস একটা অস্ফুট ধ্বনি করিয়া দুই হাত একত্র করিয়া ধরিবামাত্র এক জোড়া হাতকড়ি চক্ষুর নিমেষে মিঃ বেকার তাহার করযুগলে পরাইয়া দিলেন। দসু মোহনের বিশ্বস্ত অনুচর ও সহকারী এত সহজে বন্দী হওয়ায়, মিঃ বেকারের মুখভাব অত্যুজ্জ্বল-সফলতা-দীপ্তিতে ঝলমল করিতে লাগিল। মিঃ বেকার তাহার সহকারীদের ডাকিতে পাঠাইয়া অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। (సి) Sડ অবশেষে বহু-প্রতীক্ষিত ও আলোচিত ১০ই জুলাই উপস্থিত হইল। কলিকতা নগরীর অত্যুৎসাহী নর-নারীগণ এক অসম্ভব কিছু শ্রবণ করিবার আশায় অতি প্রত্যুষে জাগরিত সত্যই কি দসু্যু-মোহন করেন্সি-অফিস লুঠ করিবে।” ওঁ পুলিসের কড়া নিষেধ সত্ত্বেও চায়ের দোকানে, ট্রামে, বাসে, মজলিসে ঐ একই জিজ্ঞাসাকে কেন্দ্র করিয়া সর্বত্র নানাপ্রকার মৃদু গুঞ্জনধ্বনি উঠিতে লাগিল। ঐদিন প্রভাতে বাঙলার ডাক সংবাদপত্রে মোহনের স্বাক্ষরিত এক অদ্ভুত পত্র প্রকাশিত হইল। পত্ৰখানি পাঠ করিয়া সকলের চক্ষু কপালে উঠিল। সকলের মনই এক অনাগত বিপদ আশঙ্কায় ভীত হইয়া উঠিল। আমরা সংবাদ-পত্রে প্রকাশিত পত্ৰখানি উদ্ধৃত করিয়া দিলাম ঃ— বাঙলার ডাক' সম্পাদক মহাশয় সমীপেষু — মহাশয়।