পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎԶ Է Ե- মোহন অমনিবাস g এই পত্রের নিম্নে সম্পাদক মহাশয় লিখিয়া জানাইয়াছেন যে, তিনি মোহনের অনুরো মত হেড-কোয়ার্টারে গমন করিয়া দসু মোহনের সহকারী-সম্বন্ধে সংবাদ লইয়া জানিয়াছেন যে, দসু্য—যাহাকে মিঃ বেকার গ্রেফতার করিয়াছিলেন সেই দস্যু—এক অসম্ভব উপায়ে হাজত হইতে পলায়ন করিয়াছে। কি করিয়া এই কার্য সম্ভব হইল, তাহা তাহারা তখন পর্যন্ত আবিষ্কার করিতে সক্ষম হন নাই। এই দীর্ঘ সংবাদটি লক্ষ লক্ষ নর-নারীর সহিত মিঃ বেকারও পাঠ করিলেন। তাহা মুখমন্ডল অস্বাভাবিকরূপে গম্ভীর হইয়া উঠিল। তিনি সম্মুখে রক্ষিত টেলিফোন উঠাইয়৷ লইয়া কমিশনারের সহিত সংযোগ চাহিলেন এবং অনতিবিলম্বে তাহাকে পাইয়া কহিলেন, “সুপ্রভাত, স্যার। আমি এখনি একবার আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই। বিশেষ জরুরী সংবাদ আছে। এখন কি সময় হবে?...উত্তম ! আমি দশ মিনিটের ভিতর হাজির হচ্ছি।" এই বলিয়া তিনি রিসিভার নামাইয়া রাখিয়া, ছড়ি ও টুপি উঠাইয়া লইয়া অপেক্ষমান মোটরে আরোহণ করিলেন। - কমিশনার অপেক্ষা করিতেছিলেন ; মিঃ বেকারের গম্ভীর মুখের দিকে চাহিয়া কহিলেন “হ্যালো! ব্যাপার কি ?” - মিঃ বেকার অভিবাদনান্তে বাঙলার ডাক’ সংবাদ-পত্ৰখানি কমিশনারের হাতে দিলেন এবং নির্দিষ্ট স্থানটি দেখাইয়া দিয়া পাঠ করিবার অনুরোধ জানাইলেন। - কমিশনার অত্যন্ত আগ্রহে সংবাদটি পাঠ করিলেন এবং পাঠ শেষে ক্ষণকাল হতাশ হইয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন। এক সময়ে কহিলেন, “ইহাও কি সম্ভব, মিঃ বেকার ?" মিঃ বেকার কোন উত্তর দিলেন না। কমিশনার পুনশ্চ কহিলেন, “সম্ভব হোক আর অসম্ভব হোক, এই সংবাদ প্রচারিত হবার ফলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা' থেকে আর নিষ্কৃতি নেই। কিন্তু আমাদের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও এতবড়ো সাহস এই চোতা কাগজটার হ’ল কি ক’রে বলতে পারেন ?” - মিঃ বেকার মৃদু হাসিয়া কহিলেন, “চোতা কাগজ নয়, স্যার। প্রায় আশী হাজার প্রচারসংখ্যা। তাছাড়া কোন জরুরী-সংবাদ বিশেষ আইন-জারি না কোরে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এক্ষেত্রে এই চিঠি এই কাগজ যদি না-ও ছাপতো, তবে অন্য কাগজেরও অভাব হ’ত না।” - & ് কমিশনার কহিলেন, “তা যেন হ’ল। কিন্তু বন্দীটা পালালো কি করে, তার কিনারাই তো হ’ল না, মিঃ বেকার।” & “না, হ’ল না, স্যার। আমাকেও এই বিষয়টা বিস্ময়াপন্ন করেছে।” - “কিন্তু তাতে তো সমস্যার সমাধান হয় না, মিঃ বেকার!” কমিশনার চাপা-কুপি স্বরে কহিলেন। মিঃ বেকারের মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়া উঠিল। তিনি কহিলেন, “আমার কি ধারণা শুনবেন ? হয় তো প্রচুর উৎকোচের লোভ দেখিয়া বন্দী প্রহরীর নিকট ভাল খেতে চেয়েছিল, হয় তো প্রহরী দ্বার চাবি-মুক্ত ক’রে ভিতরে গিয়েছিল, তারপর এই অসীম বলশালী দস্যুটা প্রহরীকে কাবু ক’রে নিজের অভীষ্ট সিদ্ধ করে নিয়েছে। আর লজ্জার দায়ে কিম্বা চাকুরির ভয়ে প্রহরী কোন কথাই স্বীকার করছে না। এর সঙ্গে প্রধান দ্বার-রক্ষীদের