পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার মোহন 8 ԾՎ) কমিশনার বুঝিলেন, মিঃ বেকার তাহার উক্তির বিপরীত অর্থ গ্রহণ করিয়াছেন। তিনি ব্যস্তভাবে কহিলেন, “না, মিঃ বেকার, না। আমি ওসব কিছু ভেবে একথা বলি নি। আমার সন্দেহ হচ্ছিল যে, দসু্য মোহনের সহকারী-দল এরা নয় তো ?” মিঃ বেকার হাসিয়া কহিলেন, “আমি হলফ ক’রে বলতে পারি, স্যার, এরা সহকারী তো ময়ই, এমন কি দসু মোহনকে চোখেও কখনও দেখে নি।” অপরাহু ১ টা বাজিল। বন্দোবস্ত মত মিঃ বেকারকে আহারের ছুটি দিবার জন্য হেড় কোয়ার্টার হইতে দু’জন সিনিয়র অফিসার হাজির হইলেন। মিঃ বেকার তাহদের চার্জ বুঝাইয়া দিয়া কমিশনারের সহিত মধ্যাহ্ন আহার করিতে প্রস্থান করিলেন। দুইজন সিনিয়র অফিসারের ভিতর একজন ইউরোপীয়ান, অন্যজন ভারতীয়। ইউরোপীয়ান ভদ্রলোকের নাম মিঃ হ্যারিস। আর ভারতীয়ের নাম, মিঃ সিনহা। উভয়ই পুরাতন দক্ষ কর্মচারী। - মিঃ হ্যারিস কহিলেন, “দসু মোহনকে আপনি চেনেন, মিঃ সিনহা ?” মিঃ সিনহা কৃত্ৰিম ভীতস্বরে কহিলেন, “রেহাই দিন, মিঃ হ্যারিস। যে মহাপ্রভুকে নিয়ে আমাদের বরণ্যে, স্বনামধন্য মিঃ বেকার এরূপ নিদ্রাহীন-রাত্রি, বিশ্রামহীন-দিবাকাল অতিবাহিত করতে আরম্ভ করেছেন, তেমন মহাপ্রভুর সঙ্গে পরিচয়ের ভাগ্য যত কম হয়, ততই মঙ্গল।” - “অদ্ভুদ শক্তিসম্পন্ন এই দস্যুটা।” এই বলিয়া মিঃ হ্যারিস দেখিলেন একটি সুবৃহৎ মোটর আসিয়া গাড়ী-বারান্দার নিকট দাড়াইল এবং একটি যুবক অবতরণ করিয়া, অগ্রসর হইয়া অফিসারদ্বয়ের নিকটে আসিল এবং চারিদিকে একবার দৃষ্টি বুলাইয়া লইয়া কহিল, “ব্যাপার কি ? জার্মানী কি বেলেঘাটায় এসেছে ?” মিঃ সিনহা কহিলেন, “আগে আপনি কে সে পরিচয় দিন তো, স্যার”। “আমি ? আমি একজন সাধারণ মানুষ। কিন্তু কিন্তু সত্যিই ব্যাপার কি বলুন তো ?” যুবকটি নির্ভয় কষ্ঠে প্রশ্ন করিল। মিঃ হ্যারিস তপ্তকষ্ঠে কহিলেন, “আপনি কি চান ?” இ. করিয়া দেখাইল। ക് “তবে ভিতরে যান।” মিঃ হ্যারিস আদেশ দিলেন। ട്ട് “তা যাচ্ছি। কিন্তু কি হয়েছে, যার জন্য এতগুলি বন্দুকের ছড়াছড়ি, দ্বারে আপনারা পাহারা দিচ্ছেন, তা না বললে এতগুলো টাকা নিয়ে বেরিয়ে আসা, একটু ভয়ের কথা নয় কি?” যুবকের ভীত স্বর শুনিয়া মিঃ হ্যারিসের সন্দেহের নিরসন হইয়া গেল। তিনি কহিলেন, “আপনার ভয়ের কিছুমাত্র কারণ নেই। আপনি নিৰ্ভয়ে ভিতরে যান।” “তবে যাই।” এই বলিয়া যুবক সহসা হাসিয়া ফেলিল এবং কোন প্রশ্ন আসিবার পূর্বেই ভিতরে প্রবেশ করিল। মিঃ হ্যারিস কহিলেন, “অদ্ভুত জীব।” মিঃ সিনহা কহিলেন, “যে-রকম বিরাট আয়োজন আমাদের বুড়ো বেকার করেছেন, তাতে সত্যই অপরিচিতের পক্ষে ভীত হওয়া একান্ত স্বাভাবিক। একটা দসুর ভয়ে যেন