পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 D8 মোহন অমনিবাস পুলিস বিভাগ ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। তাতে আবার বাঙালী দস্যু। ছিঃ ছিঃ, আমরাই যত মযাদা এই হতভাগ্য লোকটাকে দিচ্ছি, তত মর্যাদা সে একশো বছর লুঠ ক’রেও অর্জন করতে পারতো না।” মিঃ হ্যারিস কহিলেন, “দসু্যটা বাঙালীর ছেলে বলে আপনার গর্ব হচ্ছে না, মিঃ সিনহা ?” মিঃ সিনহা বিরক্ত স্বরে কহিলেন,“গর্ব ? কি যে বলেন, মিঃ হ্যারিস! এই দস্যুটার জন্য বাঙালীর শক্তি সুনাম চিরকালের জন্য মসীলিপ্ত হয়ে গেল। এই দস্যুটা বাঙালী নামের কলঙ্ক। আমি এটাকে এত ঘৃণা করি যে কি বলব! শুধু এরই জন্য আজ একজন বিশেষ অভিজ্ঞ, কর্ম-দক্ষ বাঙালী অফিসার লাঞ্ছিত, কর্মচ্যুত। এটাকে শূলে দিলেও আমার রাগ যায় না।” “এটা আপনার হিংসার কথা, মিঃ সিনহা। কারণ আমরা বিদেশী হ’লেও, এই লোকটার কতকগুলি গুণকে আমরা শ্রদ্ধাই করি। আমাদের দুঃখ এই যে, এমন একটা অসাধারণ বাঙালী ভুল পথে চলার জন্যে জগদ্বরেণ্য হতে পারল না।” এই বলিয়া মিঃ হ্যারিস নীরব হইলেন। এমন সময়ে দুই জন ভদ্রলোক আগমন করিলেন ; সঙ্গে দুইজন দারোয়ান ; তাহারা আপনাদের পরিচয় দিয়া ভিতরে যাইবার অনুমতি লইয়া চলিয়া গেলেন। দেখিতে দেখিতে দুইটা বাজিল। মিঃ বেকার প্রত্যাগমন করিলেন এবং রিপোর্ট লইয়া অপেক্ষাকৃত শান্তমনে ডিউটিতে নিযুক্ত হইলেন। মিঃ সিনহা ও মিঃ হ্যারিস উভয়েই রহিয়া গেলেন। (R>) ক্রমে তিনটা বাজিল, চারিটা বাজিল। এই সময়ের মধ্যে একের পর এক করিয়া বহু ব্যক্তি কর্ম অজুহাতে করেন্সি অফিসে প্রবেশ করিতে লাগিলেন। মিঃ বেকার সম্মুখের ফটক দিয়া প্রবেশ করিবার ও পশ্চাদ্বার দিয়া বাহির হইবার বন্দোবস্ত মাত্র সেইদিনের জন্য করিয়াছিলেন। কারণ একই দ্বার দিয়া যাতায়াতের পথ থাকিলে পরীক্ষাকার্যে গোলযোগ ঘটিবে। — এই আশঙ্কাতেই তিনি এরূপ বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। সর্ব বাজিলে মিঃ বেকার ফটক বন্ধ করিবার আদেশ দিলেন এবং সহকারীদের উপর বন্ধদ্বারের ভার অপণ করিয়া দ্রুতপদে অফিসে প্রবেশ করিলেন। ভিতরের সকল বন্দোবস্ত সুচারু-রূপে আছে দেখিয়া, কন্ট্রোলারের অফিসে গমন করিয়া দেখিলেন, তিনি একটি সিন্দুকের সম্মুখে মুখ অতিমাত্রায় বিষন্ন করিয়া বসিয়া রহিয়াছেন। মিঃ বেকারকে দেখিয়া তিনি ভীতস্বরে কহিলেন, “আর দেরি নেই, না ?” তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়া মিঃ বেকার অতিমাত্রায় বিস্মিত হইয়া কহিলেন, “কিসের দেরি নেই বলছেন ?” হাতের ঘড়ি দেখিয়া মিঃ বেকার কহিলেন, “এখনও ৪৫ মিঃ দেরি আছে।” এই