পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার মোহন 8 Q。 আমরা পাঠক-পাঠিকাগণকে আজ যে সংবাদ দিতেছি তেমন দুঃসাহসিক ডাকাতির কথা আমরা কল্পনায়ও কখনও ভাবিতে পারিতাম না। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় নগরী কলিকাতার বক্ষে অবস্থিত করেন্সি অফিসের মূল্যবান, বহু লক্ষ মুদ্রা মূল্যের সম্পদ দিবালোকে পূর্বাহ্লে সদন্তে ঘোষণা করিয়া, নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে দস্য মোহন কর্তৃক লুষ্ঠিত হইয়াছে। এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাও যে বিংশ শতাব্দীতে ঘটিতে পারে, তাহা কল্পনা করিতেও পারা যায় না। কিন্তু তাহাই সম্পন্ন হইয়াছে। দসু্যরাজ মোহন জাদু-মন্ত্র বলে তাহার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিয়াছে। সহস্ৰ সহস্র পুলিসের – বন্দুকধারী পুলিসের – বেড়াজাল অতিক্রম করিয়া যে বুদ্ধি চাতুর্যে অসমসাহসিক দস্য এই অসাধ্য সাধন করিতে সক্ষম হইল, তাহার তারিফ করিব না কার্যের নিন্দা করিব, কে আমাদের বলিয়া দিবে ?” মিঃ বেকার কাগজখানি পড়িয়া সক্রোধে দূরে নিক্ষেপ করিলেন। তিনি চিন্তা করিতে লাগিলেন, যেমন করিয়াই হউক দস্যকে গ্রেফতার করিতে হইবে, অপহৃত সম্পদ পুনরুদ্ধার করিতে হইবে, নচেৎ তাহার জীবনধারণের কোন সার্থকতাই থাকিবে না। মিঃ বেকার টেলিফোন করিয়া তাহার একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীকে আহবান করিলেন। তিনি দশ মিনিটের ভিতর মিঃ বেকারের নিকট উপস্থিত হইয়া, কি আদেশ জানিতে চাহিলে, মিঃ বেকার কহিলেন, “মিঃ দাস, আপনি কি এখন কোন জরুরী কাজে ব্যস্ত আছেন ?” ডিটেকটিভ ইনস্পেক্টর মিঃ দাস কহিলেন, “বিশেষ জরুরী নয়, মিঃ বেকার।” “তবে এক কাজ করুন, আমি কয়েকদিনের জন্য মফঃস্বলে যাচ্ছি, আপনি আমার কয়েকটি কাজের ভার নিন।” এই বলিয়া মিঃ বেকার উঠিয়া দাঁড়াইলেন এবং যাইতে যাইতে পুনশ্চ কহিলেন, “আমার সঙ্গে আসুন, মিঃ দাস।” মিঃ দাস মিঃ বেকারের কষ্ঠে কখনও এরূপ করুণ স্বর শুনেন নাই। তিনি সবিস্ময়ে এই অসামান্য প্রতিভা-সম্পন্ন ডিটেকটিভের দিকে চাহিয়া ভাবিতে লাগিলেন, দুর্দান্ত দসু্যু মোহন এমন একজন তীক্ষুধীসম্পন্ন ব্যক্তিরও সকল উৎসাহ নির্বাপিত কুরিতে সমর্থ হইয়াছে। „S” মিঃ বেকারের পশ্চাতে মিঃ দাস বাহির হইয়া গেলেন। ১৮ (২৩) x দেখিতে দেখিতে মিঃ বেকারের নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র ১৫ দিন অবশিষ্ট রহিল। মিঃ বেকার –বাঙ্গলা তথা ভারত-গভর্নমেন্টের সমস্ত শক্তি লইয়া ঝাপাইয়া পড়িয়াও—দসু্যু মোহনের কোন সন্ধানই করিতে পারিলেন না। র্তাহার মন উদ্বেগে, দুশ্চিন্তায় দিন দিন ভাঙ্গিয়া পড়িতে লাগিল; তিনি ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিলেন। যেখানেই যখন ভ্রমবশত নিরীহ লোক মোহন-সন্দেহে গ্রেফতার হইল, সেখানেই মিঃ বেকার উল্কাবেগে তখন ছুটিয়া যাইতে লগিলেন, কিন্তু প্রত্যেকবারই নিরাশ হইয়া, তাহার চিত্তবৃত্তির স্থৈর্য নিঃশেষে বিলুপ্ত হইতে লাগিল। মিঃ বেকার অতি সর্তকতার সহিত সন্ধান করিতে করিতে আজমীঢ়ে উপস্থিত হইলেন। আজমীঢ়ে উপস্থিত হইয়া তিনি সকল সূত্রের সংযোগ হারাইয়া ফেলিলেন। আজমীঢ়