পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার মোহন 8 > 。 দন্ড, মৃত্যু। অতএব তিনি কিরূপ নীচতা জাহির করিতেছেন বুঝিতে পারিয়া, তাহার লজ্জার আর অবধি রহিল না। মোহন মিঃ বেকারের মুখের দিকে চাহিয়া পুনশ্চ কহিল, “তা’ হ’লে উঠুন, মিঃ বেকার। আমি আপনার বেশী সময় নষ্ট হতে দেব না। আসুন।” এই বলিয়া মোটরে গিয়া আরোহণ করিল। মোহনের আদেশে একজন সহকারী মোটর ছাড়িয়া দিল। কিছুদূর অগ্রসর হইয়া মোহন মৃদু হাস্য মুখে কহিল, “আর একটি কথা, মিঃ বেকার। আমাদের এই শর্তের কথা অর্থাৎ পুরস্কার-গ্রহণের কথা, আশা করি, আমাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, সাধারণ্যে প্রকাশিত ও প্রচলিত হবে না।” মিঃ বেকার একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া কহিলেন, “তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ, মোহন। তুমি আমাকে এক বিরাট লজ্জার হাত থেকে নিষ্কৃতি দিলে। সাধারণে যদি জানতে পারে, তুমি স্বেচ্ছায় ধরা দিয়েছ, তা হলে আমার অবস্থা প্রায় ধরা না দেওয়ার সমানই দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রেও আমাকে চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে .......” বাধা দিয়া মোহন কহিল, “না, না, কিছুতেই প্রচার করা চলবে না। শুধু আপনার স্বার্থে নয়, মিঃ বেকার, আমার স্বার্থেও একান্ত ভাবে প্রয়োজন, নচেৎ আমার ধরা দেওয়ার কোন অর্থই হয় না। বুঝেছেন ?” - মোটর উল্কাবেগে ছুটিয়া চলিল। মিঃ বেকার জয়ীর গর্বে উৎফুল্ল হইয়া বসিয়া রহিলেন। এতদিনে মনোবাসনা পূর্ণ হইল। (২৬) মোহন বন্দী হইয়াছে। মিঃ বেকার দসু মোহনকে গ্রেফতার করিয়াছেন –এই সংবাদ দাবাগ্নির মত সারা ভারতবর্ষে ছড়াইয়া পড়িল। সংবাদ-পত্রে মোহন সম্বন্ধে দীর্ঘ দীর্ঘ প্রবন্ধ ཉྩ༔ ཨོཾ་ཨཱཿ ཨཚ8s Bi ཨཕར་ཕ༢ ཨ་ལ་ཨ་ལ་ ཨ་ལ་ཨ༦༢ ཀག ཨཐ༤ ལཱ་ལའི༠ མ་ཟ། | মোহন কিরূপে বন্দী হইল, কোথায় বন্দী হইল ইত্যাদি সংবাদ কোন সংবাদপত্র বিস্তারিত মিথ্যা বিবরণ ছাপাইয়া, প্রত্যেকে প্রত্যেকের অপেক্ষ ভিন্ন সংবাদ বাহির করিয়া, সাধারণের মন নানা সন্দেহে পরিপূর্ণ করিয়া তুলিতে আরম্ভ করিল। বাহিরে যখন এইরূপ অবস্থা, তখন কলিকাতা প্রেসিডেন্সি জেলের এক সুদৃঢ় বিশেষ বন্দী-কক্ষে দসু মোহন মিঃ বেকারের সহিত কথা কহিতেছিল। মিঃ বেকার প্রদত্ত একটি দামী সিগারে অগ্নি-সংযোগ করিয়া মোহন মৃদু হাস্য মুখে বলিতেছিল, “আবার আপনার নামে জয়ধ্বনি উঠেছে, মিঃ বেকার। মাঝখানে যেটুকু সুনাম স্তিমিত হয়ে এসেছিল, আমাকে গ্রেফতার কোরে আবার দশগুণ বেশী তেজে জুলতে আরম্ভ করেছে। আমি বরাবরই বলেছি যে, মিঃ বেকরের মত এমন সুদক্ষ ডিটেকটিভ কর্মচারী ভারত-গভর্নমেন্টের আর দ্বিতীয় নেই।” মিঃ বেকার গম্ভীর মুখে কহিলেন, “তোমার বাজে কথা রাখো, মোহন। এখন আমার দুএকটা প্রশ্নের জবাব দাও, দেখি।”