পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Հ:

  • -রমা-হারা মোহন

পূবাভাষ আজমীঢ় হইতে কয়েক মাইল উত্তরে পার্বত্য-প্রদেশ-মধ্যবর্তী যে সুবিস্তীর্ণ উপত্যকার চারি পাশ্বে পার্বত্য-পল্লী গড়িয়া উঠিয়াছে, সেখানে হইতে আরও এক মাইল উত্তরপশ্চিমে গমন করিলে একটি সুদৃশ্য পার্বত্য বাঙলো দেখিতে পাওয়া যাইবে। দূর হইতে এই দুগ্ধ বর্ণের বাঙলোটিকে নীলিমার নিম্নে ধূসরবর্ণের পর্বতের উপর এক অপূর্ব মায়াপুরী বলিয়া প্রতিভাত হয়। যে, তাহদের দুঃখে বিগলিত হইয়া এক দেবী ও দেবতা ঐখানে বাস করিতে আসিয়াছেন। যে-কোন প্রার্থীকে র্তাহারা বিমুখ করেন না। একদিন এই দেব-দেবীর-অধ্যুষিত বাঙলোর একটি প্রশস্ত সুসজ্জিত কক্ষের ভিতর চেয়ারে বসিয়া দস মোহন তাহার সম্মুখে রক্ষিত স্তুপাকার পত্রসমূহ পাঠ করিতেছিল। তাহার মুখমন্ডল অস্বাভাবিক রূপে গম্ভীর ও স্নান। তাহার সম্মুখে অপর একটি—অপেক্ষাকৃত বেশী বয়স্ক—যুবক সশ্রদ্ধ ভঙ্গিমায় দাঁড়াইয়াছিল। উভয়েই নীরব, উভয়ের মুখই চিন্তাগ্রস্ত। వీ এক সময়ে মোহন পত্র-পাঠে বিরত থাকিয়া মুখ তুলিয়া কহিল, “আমি এ সব আর পারি নে আমি। আমার মন এরা কিছুতেই শাস্ত হতে দেরে নী আমি এখন নিরূপায়। আমি এখন এইসব প্রার্থীদের নিয়মিত সাহায্য কি ক’রে পাঠাতে পারি, বলতে পারো ?” প্রশান্ত নতনেত্রে মেঝের উপর চাহিয়া শান্ত কষ্ঠে কহিল, “আমি বুঝি, কারণ আমি হেতুটি জানি, স্যার। কিন্তু এরা বুঝতে চায় না। শুনে বলে, “মোহন কখনও সাহায্য দেওয়া বন্ধ করেন নি, আমরা তাকে বিশেষভাবেই জানি। কিন্তু সাহায্য বন্ধ করেছে মোহনের অনুচরেরা। একবার যদি আমরা মোহনের দেখা পেতাম, তাকে জানাতে পারতাম যে, গত মাস থেকে আমরা একটি পয়সাও পাই নি, তাহলে তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে তার বিশ্বাসঘাতক