পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Յw) Ե- মোহন অমনিবাস কবিতা কহিল, “আপনি যদি মার্জনা করতে না পারেন, তবে দিদি সুখী হবেন কি ক’রে বাবা ?” “তই তো, মা। আমি কি আর তা দেখছি না ? কিন্তু কি করি বল দেখি ? কিছুতেই আমি মনস্থির করতে পারছি না। মোহনকে মার্জনা করবার চিন্তা কেন আমি করতে পারি না, বল দেখি, রমা ?” আপনি যদি মার্জনা করতে না পারেন, তবে যে কোন দিকেই কোন উপায় দেখি নে। আপনিও তো তা’ বোঝেন বাবা।” মিঃ সোম বিহুল দৃষ্টিতে ক্ষণকাল সমুদ্রের অশান্ত ঢেউগুলির দিকে চাহিয়া থাকিয়া অসংলগ্ন স্বরে বলিতে লাগিলেন, “আমিও বুঝি, ঠিক না ? হা আমিও বুঝি, বৌ-মা – আমিও বুঝি। আমার সরোজের জীবন রক্ষা সে ....” মিঃ সোম, জামাতা’ বলিতে চাহিতেছিলেন, কিন্তু কিছুতেই সক্ষম না হইয়া অবশেষে কহিলেন, “সে হচ্ছে মোহন, মোহন। তুমি কি জান বেীমা, মোহন আমার এখন কতখানি প্রিয়তম, কি অমূল্য ধন ? কিন্তু আমি পারি না, কিছুতেই পারি না – আমার বুক জুলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।” রমা অস্ফুট স্বরে কাদিয়া উঠিল। রমার দিকে চাহিয়া মিঃ সোম কহিলেন, “অভিমান করছিস, মা ? কিন্তু ...” তিনি চিন্তিত হইয়া পড়িলেন। কবিতা কাতর স্বরে কহিল, “এখনও মনস্থির করতে পারলেন না বাবা ? আপনি কি বুঝতে পারছেন না যে, আর কোন দিকে কোন উপায় নেই ? আপনার প্রিয় সন্তান জেলের ভিতর মৃত্যুদন্ডের প্রতীক্ষায় বসে আছেন ? তার মনে একমাত্র সাত্ত্বনা, তার বাবা কখনও একটা মিথ্যা সন্মান-বোধ নিয়ে বসে থেকে, তাকে জেল খাটতে দেবে না। কিন্তু বাবা, শেষে কি তার আশা বিফল হবে ?” মিঃ সোমের বক্ষে তীব্র জ্বালা ধরিয়া গেল। তিনি অধৈর্য স্বরে কহিলেন, “থাম বেীমা, থাম। আমি ভেবে দেখি। কি বললে তুমি ? মিথ্যা সন্মানবোধে আমি পুত্র-হত্যা করতে চলেছি ? মিথ্যা সন্মানবোধ। হা, বোধ হয় তাই। রমা ?” వీ “বলুন, বাবা ?” রমা মুখ তুলিয়া চাহিল। of মিঃ সোম আগ্রহভরে কহিলেন, “হারে মা, আমি যদি মোহনকে মার্জনা করি, সব ভুলে যাই, তবে কি সে আমার সরোজকে বাঁচাতে পারে ৫১১ কর্তব্যচু্যত হতে দেব না।” “আঃ! মা রে, কি শাস্তি পেলাম আমি।” মিঃ সোম দুটি চক্ষু মুদ্রিত করিলেন। কবিতা রমার একখানি হাত ধরিয়া কহিল, “ভগবান আপনাকে চিরসুখী করুন, দিদি।” রমার চক্ষু জ্বালা করিয়া উঠিল। সে কহিল, “দাদা আমার যে কতখানি, তুমি কি জানবে, কবিতা ? তুমি কি ভাব, দাদার বিপদের কথা শুনে যে বোন এরোপ্লেনে আজমীঢ় থেকে ছুটে এসেছে, সে কি এমনি দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, আর তার প্রিয়তম দাদা.....” রমা কথা শেষ করিতে পারিল না। অশ্রুবেগে তাহার স্বর বন্ধ হইয়া গেল। মিঃ সোম প্রকৃতিস্থ হইয়া কহিলেন, “আমি সর্বাস্তকরণে মোহনকে মার্জনা করছি মা,