পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 o মোহন অমনিবাস আপনাকে দেখে যাব, বাবা।” মিঃ সোম কহিলেন, “কোথায় থাকবি তোরা ?” + “আমি তো জানিনে, বাবা। এরোপ্লেন থেকে বরাবর আমি বাড়ীতে । উনি কি বন্দোবস্ত করেছেন, তা’ আমি জানি না।” - রমা পিতাকে গড় হইয়া প্ৰণাম করিয়া, পায়ের ধূলা মাথায় লইল। কবিতা রমার দুখানি হাত চাপিয়া ধরিয়া কহিল, “নাই বা রাত্রে গেলেন, দিদি ?” রমা নতস্বরে কহিল, “না ভাই, আমাকে বাধা দিও না। এখন মিনিটের মূল্য কি, তাতো বোঝ ? যেমন ক’রেই হোক দাদাকে রক্ষা করতে হবে। নইলে কোন কিছুরই অর্থ থাকে না, বৌদি।” কবিতাকে নমস্কার করিয়া রমা পুনরায় পিতাকে শাস্ত করিয়া ধীর পদে কিছুদূর অগ্রসর হইয়া দেখিল, বৃদ্ধ দাড়াইয়া রহিয়াছে। রমা নিকটে উপস্থিত হইলে, সে কহিল, “তুমি আমাকে চিনতে পারো নি, রানী?” রমা মান হাস্যে কহিল, “না। আর দাড়িয়ো না চল। অনেক কথা আছে।” বৃদ্ধ-বেশী মোহন মৃদু হাস্যে কহিল, “বুড়ো লোক কখনও কি তরুণী মেয়ের সঙ্গে তাল বজায় রেখে চলতে পারে?” রমানত স্বরে কহিল, “পারে। অন্তত পারা উচিত। কারণ বুড়োরাই তরুণীদের বিয়ে করবার জন্য বেশী লালায়িত হয়।” হজমের শক্তি তাদের নেই—তাই মরে। কিন্তু আমার কথা স্বতন্ত্র।” রমা একবার চারিদিকে চাহিয়া কহিল, “কেউ কোথাও নেই, একটু জোরে চল এবার।” মোহন মৃদু হাসিয়া কহিল, “নেই? সেই উত্তর দিকের বাড়ীর থামটার পিছনে কে দাড়িয়ে আছে, দেখছ, রমা ?” রমা সবিস্ময়ে চাহিতে দেখিল, একজন পুলিস অফিসার তাহদের দিকে এক দৃষ্টে ও সজাগ দৃষ্টি দেখিয়া আশ্চর্য হইল। সে আর কোন কথা না বলিয়াবৃদ্ধের পশ্চাতে সম্মুখে একটি গাড়ী দাড়াইয়া আছে। বৃদ্ধবেশী মোহন কহিল গাড়ীতে ওঠে।” রমা আরোহণ করিলে, মোহন গাড়ীতে উঠিয়া, কোচম্যানকে যাইবার জন্য আদেশ দিল। গাড়ী ছুটিতে লাগিল। রমা মোহনের দিকে চাহিয়া প্রশ্ন করিল, “কোথায় ?” মোহন কহিল, “আমাদের বাড়ীতে।” রমার বিস্ময়ের আর অবধি রহিল না। কিন্তু সহসা তার মনে পড়িল, এই পুরীধামেই তাহার দাদার সহিত স্বামী মোহনের প্রথম পরিচয় হইয়াছিল। রমা আপন বাড়ী দেখিবার জন্য অধীর আগ্রহে বসিয়া রহিল ; সে মুহুর্তের জন্য সব কিছু ভুলিয়া গেল। (8) মোহনের উপযুক্ত প্রাসাদ। মানুষ কিরূপ অর্থবান হইলে তবে এরূপ বাড়ীর অধীশ্বর