পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 & O মোহন অমনিবাস “কেউ এসেছিল?’ মোহন জিজ্ঞাসা করিল। বিলাস মাথা নাড়াইয়া জানাইল যে আসে নাই। মোহন কহিল, “একখানা মোটর যোগাড় করতে পারিস ?” - বিলাসের জড়তা কাটিয়া গেল। সে সোৎসাহে কহিল, “একটা কেন, পাঁচটা পারি।” বিলাস কক্ষের জানালার ভিতর দিয়া নিম্নে মোটর দাঁড়াইবার স্থানে কয়েকটি অপেক্ষামান মোটরের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া কহিল, “অত গাড়ীর মধ্যে পাঁচটা নিয়ে পগার পার হওয়া এমন কি আর বড় কথা কর্তা ?” মোহন হাসি চাপিয়া কহিল, “তোর নতুন মা’র কাছে কি প্রতিজ্ঞা করেছিলি?” অন্যায় কাজ আর কখনও করবি নি—নয় ?” বিলাস আপন নাক ও কান মলিতে মলিতে কহিল, “এই আমার শাস্তি, এই আমার শাস্তি।” মোহন হাসিয়া ফেলিল ; কহিল, “আচ্ছা হয়েছে। এখন বল, একটা মোটর যোগাড় করতে পারিস কি না?” - বিলাস মাথা নাড়িয়া কহিল, “না, কর্তা। ওসব কাজ আমার দ্বারা আর হবে না।” মোহন কৃত্রিম কোপ প্রকাশ করিয়া কহিল, “তবে দূর হতে হবে।” “বেশ, দূর হব। নতুন মা’র কাছে গিয়ে থাকব।” বিলাস নির্বিকার স্বরে কহিল। মোহন হাসিয়া কহিল, “তা’থাকবে বই কি ! আমার কাছ থেকে দূর হয়ে মা’র আদর খাবে। ব্যাটা ভেমো-গোয়ালার বুদ্ধি আর কত হবে!” রমাকে বিলাস নতুন মা’ বলিয়া ডাকিত। বিলাসের চোখ দটি সহসা উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। সে কহিল, “হয়েছে কর্তা।” “কি হয়েছে?” “মোটর পেয়েছি, কর্তা। কোথায় নিয়ে যেতে হবে ?” বিলাস নিশ্চিত্ত স্বরে জিজ্ঞাসা বিলাস প্রশ্নের পর প্রশ্নে যাহা বলিল, তাহা এই যে, সে পূর্বে একটি মোটর অফিসে চাকুরী করিয়াছিল। সেখান হইতে একটি ধনী ভদ্রলোক মোটর ক্রয় করিবেন, এই অজুহাতে একটি মোটর অনায়াসে লইয়া আসিতে পারে। তাহাতে মা'র নিষেধ অমান্য করাও হইবে না, অথচ প্রভুর কাজ হইয়া যাইবে। মোহন মোটরের ইচ্ছা ত্যাগ করিয়া কহিল, “থাক, তোমায় আর বুদ্ধি খরচ করতে হবে না। একটু সাবধানে থেকো।” মোহন ছদ্মবেশে ধরিয়া বাহির হইয়া গেল। এতখানি বিজ্ঞতা প্রভু বুঝিতে পারিলেন না ভাবিয়া বিলাস গজর গজর করিতে করিতে রান্নাঘরে প্রবেশ করিল। দিন। পুলিস চার্জ-সীট দাখিল করিবে। মোহন কলিকাতায় আসা অবধি বহু চেষ্টা করিয়াও সরোজের সহিত দেখা করিতে পারে নাই। আজ আদালতে গমন করিয়া সরোজকে