পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ե-Հ মোহন অমনিবাস বল, বিলাস।” বিলাস মোটা গলায় কহিল, “হী কর্তা।” পরমুহুর্তে গাড়ীখানার যেন দুখানা পাখা গজাইয়া উঠিল। উন্মাদ বেগে মোটর ছুটিয়া দিয়া উত্তর অভিমুখে ছুটিয়া চলিল। মোহন নিজীবের ন্যায় দুটি চক্ষু মুদিত করিয়া বসিয়া রহিল। এক সময়ে কহিল, “ভুবনেশ্বরে যাব বিলাস।” বিলাস কহিল, “আচ্ছা কর্তা।” ইহার পর আর কথাবার্তা হইল না। মোহনকে দেখিয়া বুঝিবার কিছুমাত্র উপায় রহিল না যে, সে ঘুমাইতেছে কি জাগরিত থাকিয়া কোন বিষয় চিন্তা করিতেছে। এক সময়ে সহসা গাড়ীখানা থামিয়া গেল। সঙ্গে সঙ্গে মোহন সচকিত হইয়া চাহিয়া দেখিল, তাহারা একটি গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে। বিলাস অনুচ্চ স্বরে কহিল, “ভুবনেশ্বরে এসেছি, কর্তা।” মোহন চক্ষু উন্মুক্ত করিয়া পুনরায় মুদিত করিল। কিছু সময় নীরবে থাকিয়া কহিল, “ভুবনেশ্বর ? উত্তম। অপেক্ষা কর, আমি আসছি।” মোহন মোটর হইতে অবতরণ করিল। সে ধনীর সস্তানের বিলাস-বাহুল্য পরিচ্ছদে ভূষিত হইয়াছিল। সম্মুখে একটি চায়ের দোকান দেখিয়া, তাহার ভিতরে প্রবেশ করিয়া সে এক কাপ চায়ের অর্ডার দিল। দোকানটি অতি সাধারণ শ্রেণীর। যাহারা চা খাইতেছিল, তাহদের অধিকাংশ নিম্নশ্রেণীর ব্যক্তি। দোকানদার বাঙালী যুবক। কোন স্থানে কোন কাজ কর্মের সংস্থান করিতে না পারিয়া চায়ের দোকান খুলিয়া বসিয়াছে। - এক বিরাট মোটর-কারে আগত রাজপুত্র-সম একটি যুবককে দোকানে বসিয়া চায়ের আদেশ দিতে শুনিয়া বাঙালী যুবকটি অস্থির হইয়া উঠিল। যে-শ্রেণীর চা ও ব্যক্তিদের লইয়া তাহার ব্যবসা, সে-শ্রেণী হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন খরিদারকে সে কি প্রকারে সন্তুষ্ট করিবে, ভাবিয়া তাহার মুখ শুকাইয়া গেল। যে এক পেয়ালা চায়ের দাম মাত্র দুটি পয়সা, সেই চা’ এমন ব্যক্তিকে কি দেওয়া যায় ? (^ & - স্যার।” "بنية মোহন হাসিমুখে কহিল, “কেন বলুন তো ? সবাই যখন খেতে পারছে, তখন আমিই বা পারব না কেন ? কাপটা একটু গরম জলে ধুয়ে দিলেই হবে।” ইহার পর আর কোন কথা চলে না ভাবিয়া, যুবক স্বয়ং এক কাপ চা তৈয়ারী করিয়া মোহন চায়ের পেয়ালায় একটা চুমুক দিয়া কহিল, “আপনিই বুঝি দোকানের মালিক?” যুবকটি স্নান স্বরে কহিল, “আজ্ঞে হাঁ। কোথাও কিছু করতে না পেরে এখানে মরতে এসেছি।” মোহন কয়েক মুহূর্ত নীরবে থাকিয়া কহিল, “ভাল কথা ! গত পরশ্ব রাত্রে এখান দিয়ে