পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*-* রমা-হারা মোহন 8 & S. দিয়া বাহির হইয়া পড়িল। মোড়ের নিকট উপস্থিত হইয়া দেখিল, তাহার আসিবার পূর্বেই রামচরণ আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। রামচরণ হাসিতে গিয়া, মোহনের মুখভাব দেখিয়া থামিয়া গেল। কহিল, “তোমার কি মন ভাল নেই, বন্ধু ?” মোহন কোন উত্তর দিল না। রামচরণ পুনরায় কহিল, “আমার সঙ্গে তার অফিসে যাবে তুমি ?” “হাঁ চল। আমারও একটু দরকার আছে।” মোহন শুষ্ক স্বরে কহিল। টেলিগ্রাফ অফিসে উপস্থিত হইয়া রামচরণ তাহার জরুরী টেলিগ্রাফটি পাঠাইয়া দিয়া রসিদ লইয়া যখন বাহিরে আসিল, তখন আর বন্ধুকে দেখিতে না পাইয়া অত্যন্ত অস্থির হইয়া উঠিল। কারণ টাকা হাতে পাইয়া আসল প্রশ্ন করিতেই সে ভুলিয়াছে, তাহার ঠিকানা জানিয়া লওয়া হয় নাই। রামচরণ এদিক ওদিক করিয়া নিবারণের বৃথা অনুসরণ করিয়া ক্ষুন্ন মনে বাড়ীর দিকের পথ ধরিল। মোহন যখন দেখিল, রামচরণ তারটি কেরানীর হাতে দিয়া টাকা দিল ও রসিদ লইল, তখনই তাহার পোষ্টাফিসের কাজ শেষ হইয়া গেল। সে পথে বাহির হইয়া, একটি ট্যাক্সি ডাকিয়া তাহাতে আরোহণ করিল ও একটি ঠিকানায় যাইবার জন্য আদেশ দিল। চিত্তরঞ্জন এভিনিউর ভিতর দিয়া কিছুদূর অগ্রসর হইয়া মোহন ট্যাক্সি বিদায় করিয়া দিল এবং পদব্রজে কিছুদুর গমন করিয়া বাসায় উপস্থিত হইয়া লাফাইতে লাফাইতে সিঁড়ি ভাঙ্গিয়া উপরে উঠিয়া ডাকিল, “বিলাস, বিলাস।” “কর্তা।” বলিয়া বিলাস হাজির হইল। । “মোটরে তেল ভরে নে। জলদি। বাইরে যেতে হবে—এখনি।” মোহন এক নিঃশ্বাসে আদেশ দিল । বিলাস তাহার গোলাকার চক্ষু দুইটি আয়তনে বৃদ্ধি করিয়া কহিল, “নতুন মা’র খবর পেয়েছ কর্তা ?” মোহন অসহ স্বরে কহিল, “পেয়েছি, পেয়েছি, যা বাবা মিথ্যে দেরী করে আমাকে পাগল করিস নে।” r പ് গেল। ثيجيمي* - একবার পিছনের দিকে চাহিয়া দেখিল, অনুগত ভৃত্য বিলাস প্রয়োজনীয় দ্রব্যে একটি বৃহৎ সুটকেশ ভর্তি করিয়া মানব-আকারে একটি বনমানুষ কিংবা গরিলারূপে নিশ্চিত্ত মনে বসিয়া আছে। মোটর মৃদু স্বরে গর্জন করিয়া উঠিল। পরমুহুর্তে যেন প্রাণ পাইয়া উল্কাবেগে প্রভুর ইচ্ছা পূর্ণ করিতে ধাবিত হইল। আহারের কথা মনে ছিল না। যে বিলাস প্রভুর নিয়মিত আহারের দিকে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখিত, মোহন যে-কোন কার্যে ব্যস্ত থাকিলেও তাহাকে আহার সম্বন্ধে অবহেলা করিতে