পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন অমনিবাস 'അ'- যে সময়ে দরিয়াপগঞ্জে মিঃ হাজরার বাড়ীতে উপস্থিত হইয়াছিল, তখন সবেমাত্র মোহনের মোটর বাহির হইয়া গিয়াছে। সিনিয়র ডিটেকটিভ অফিসারের নাম মিঃ কমল দাস। তাহার সহকারীর নাম মিঃ অপূর্ব কর্মকার। পেট্রল পাম্পের লোকটি পেট্রল ভরিতে আসিলে মিঃ দাস তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “একটু আগে কোন মোটর গেছে ?” লোকটি কহিল, “গেছে হুজুর।” “নম্বর জান ?” কর্কশ স্বরে মিঃ কর্মকার প্রশ্ন করিলেন। “না, হুজুরা” লোকটি নম্র ভাবে কহিল। “কয়জন আরোহী আছে ?” “মাত্র দু’জন, হুজুর।” মিঃ দাস স্বীয় পরিচয় দিয়া কহিলেন, “এখন সত্য করে বল, তা’র সঙ্গে তোমার কি কথা হয়েছে ?” লোকটি ভয় পাইয়া মোহনের গন্তব্য স্থান কহিল, কিন্তু রমা-সম্বন্ধীয় সকল কথা চাপিয়া গেল। বকশিশেরও কোন উল্লেখ করিল না। মিঃ দাস মোটরের দ্বারের গাত্রে একটি চাপেটাঘাত করিয়া কহিলেন, “এই দস্য, মোহন, নিশ্চয়ই মোহন চালাও — চালাও।” কিন্তু তখনও তৈল ভর্তি করা হইতেছিল, মিঃ দাস অত্যুগ্র আগ্রহ দমন করিতে বাধ্য হইলেন। অল্প পরে পুলিসের কার্যক্ষম, বলশালী ইঞ্জিনযুক্ত মোটরটি উল্কাবেগে ধাবিত হইল। - মিঃ দাস ও মিঃ কর্মকার একসঙ্গে চীৎকার করিয়া কহিলেন, “সোফার, তুমি যদি দসু্যর মোটরটাকে ধরতে পার, তবে উপযুক্ত পুরস্কার পাবে।” মোটরের গতিবেগ বর্ধিত হইল। সহকারী অপূর্ব কর্মকার কহিলেন, “রায়সাহেবের জয়-জয়কার হোক, এতদিন পরে একটা কাজের মত কাজ পাওয়া গেছে। দসু মোহনকে আমরা যদি গ্রেপ্তার করতে পারি, তা হলে আপনি রাতারাতি মিঃ স্যানিয়েলের সমকক্ষ হয়ে উঠবেন, আর আমি হব। দেখুন!” హ్రో মিঃ দাস সুখ-স্বপ্ন ছাড়িয়া কহিলেন, “দাড়াও আগে গ্রেপ্তার করি। মোটর যা বেগে ছুটেছে, পৈত্রিক প্রাণটা না মাঠে মারা যায় আবার।” সোফারের উদ্দেশ্যে চীৎকার করিয়া কহিলেন, “খুব সাবধানে সোফার। আত্মঘাতী করো না, বাবা।” “কুছ ডর নেই, হুজুর।” সোফার নির্বিকার কষ্ঠে উত্তর দিল। অপূর্ব কর্মকার কহিলেন, “আচ্ছা, এবার মিঃ স্যানিয়েল কিম্বা মিঃ বেকারের ওপর ভার পড়ল না কেন বলুন তো?” মিঃ দাস একটু গর্বের হাসি হাসিয়া কহিলেন, “অতীতে র্তারা যেরূপ শোচনীয় ভাবে ব্যর্থতা দেখিয়েছেন, তাতে মিনিষ্টার বোধ হয় বিশেষ ভরসা করতে পারেন নি। আমাকে একটা চান্স দিয়েছেন। সত্য বলতে কি এমন বিচক্ষণ মিনিষ্টার আমি জীবনে কখনও দেখি