পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমা-হারা মোহন 8 ఫిసి , নি। কি দূরদর্শিতা, কি বিচারশক্তি! হেডকোয়ার্টার ভর্তি লোক থাকতে তিনি আমাকে যখন বেছে নিলেন, তখন তার কাজে মুখ-রক্ষা আমাকে করতেই হবে।” “নিশ্চয়ই করতে হবে, স্যার! আচ্ছা মিনিষ্টার কি জানতেন যে, রায়সাহেব আমাদের দসু মোহনকে গ্রেপ্তার করার জন্য পাঠাবেন ?” অপুর্ব কর্মকার প্রশ্ন করিলেন। মিঃ দাস বিরক্ত স্বরে কহিলেন, “র্তার মত বিচক্ষণ, জ্ঞানী মিনিষ্টারের পক্ষে কোন কিছু জানা নেই ভাবাও অপরাধ, অপূর্ব ! তিনি সব বোঝেন, সব জানেন। দেখেন নি, তাকে আমাদের চীফ মিঃ বেকার পর্যন্ত কিরূপ মান্য করেন ?” সম্মুখে একখানি মোটর দেখা দিল। অপূর্ব আনন্দে চীৎকার করিয়া কহিলেন, “ওই যাচ্ছে। জোরে চালাও, সোফার।” - - মিঃ দাস তাড়াতাড়ি পকেট হইতে রিভলভার বাহির করিয়া গম্ভীর স্বরে কহিলেন, “চুপ কর। তৈরী হয়ে বস। সোফার, যাক প্রাণ, ওই মোটরখানাকে পাকড়াও করো। নিশ্চয়ই দস্য ওতে আছে!” মোটরের গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ মাইলে বর্ধিত হইল। মোটরের উল্কা-গতির সহিত পুলিসের দলটির বক্ষ-স্পন্দন সমতালে উত্তেজিত ও উদ্বেলিত হইয়া উঠিল। কয়েক মোটর একেবারে অগ্রবর্তী মোটরখানির গায়ে আসিয়া লাগিল। মিঃ দাস রিভলভারের একটা ফাকা আওয়াজ করিয়া তীব্রস্বরে অগ্রের মোটরখানি বাধিবার আদেশ ঘোষণা করিলেন; সঙ্গে সঙ্গে মোটরখানি দাঁড়াইয়া পড়িল। - মিঃ দাস ও মিঃ কর্মকার মোটর হইতে লাফাইয়া পড়িয়া উদ্যত রিভলভার হস্তে অগ্রবর্তী মোটরখানির দুই পাশ্বে উপস্থিত হইয়া গম্ভীর স্বরে কহিলেন, “Hands up.” দেখিতে দেখিতে দুইখানি শ্বেত-শুভ্ৰ-হস্ত উপর দিকে উঠিয়া গেল এবং সঙ্গে সঙ্গে মেসার্স দাস ও কর্মকারের দুইখানি উদ্যত হস্ত মাটির দিকে ঝুলিয়া পড়িল। গাড়ীর আরোহী দানাপুরের ইংরাজ পুলিশ-ম্যাজিষ্ট্রেট। তিনি শহরে বাহির হইয়াছিলেন; ও নত-নেত্ৰ দেখিয়া ভরসা পাইয়া, হাত নামাইয়া, রক্তবর্ণ চক্ষু পকাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ সব কি? কে তোমরা? জান আমি ডিষ্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রে?” ইতিমধ্যে অন্য একটি মোটরে ম্যাজিষ্ট্রেটের চাপরাসী ও বডিগার্ড উপস্থিত হইল। বহু ক্ষমা প্রার্থনা, পরিচয়-পত্র কৈফিয়ৎ ইত্যাদি দাখিল করিয়া, এঙ্গযাত্রা দাস ও কর্মকার রেহাই পাইয়া পুনরায় দস্য মোহনের সন্ধানে ধাবিত হইলেন। কিন্তু তাহদের উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং গর্ভনমেন্ট কর্তৃক তাহদের কার্যের প্রশংসা-সূচক রিপোট ইত্যাদি মনে উদয় না হইয়া, একেবারে নির্বাপিত হইয়া গেল। তাহারা নীরবে মোটরের দুই কোন আশ্রয় করিয়া বসিয়া রহিলেন। মোটর তীব্র বেগে ছুটিতে লাগিল। এদিকে মোহনের মোটর মোগলসরাই অতিক্রম করিয়া যখন এলাহাবাদের পথ ধরিল, তখন বিলাস মোটর চালাইতেছিল। মোহন পিছনের সীটে বসিয়া চক্ষু মুদ্রিত অবস্থায় চিত্তামগ্ন ছিল। সহসা বিলাসের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মোটরের গাইডিং মিরারের উপর পতিত হইল। সে ভূ