পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qの8 মোহন অমনিবাস বলুন অর্জন করেছি, তখন কাপুরুষকে চেনাবার জন্য আমাকেই যেতে হবে।” মোহন কিছু সময় নীরব থাকিয়া কহিল, “দসু্য কি উদ্দেশ্যে দিল্লী চলেছে ?” পুলিস-সুপার কহিলেন “উদ্দেশ্য যে তার ঠিক কি তা’ বোঝা যাচ্ছে না। তা’ ছাড়া শুনলাম, যে সূত্রে দসুর সংবাদ বেঙ্গল গভর্নমেন্ট পেয়েছেন, সে সূত্র নাকি খুব বিশ্বাসযোগ্য। তাই কমিশনার আমাকে যাবার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানালেন।” মোহন কহিল, “আপনি দস্যকে চেনেন; সুতরাং দিল্লীতে আপনার উপস্থিতি একান্ত বাঞ্ছনীয় তা’ বুঝি, কিন্তু আমার মনটা আবার বিগড়ে গেল, মিঃ সুপার।” সুপার বিস্মিত হইয়া কহিলেন, “আপনার ভয়ের হেতু কি, মিঃ ব্যানাজী ?” মোহন মুখ গম্ভীর করিয়া কহিল, “যেখানে এমন একটা উৎপাতের সম্ভাবনার ছবি দেখালেন, সেখানে প্রমোদ-ভ্ৰমণে গিয়ে আনন্দ পাব? দেখছি দিল্লী যাওয়া আমার হ’ল না।” সুপার হাসিয়া উঠিলেন; হাসি থামিলে কহিলেন, “আপনি কি ভাবছেন মিঃ ব্যানাজী, যে দিল্লীতে মোহন যাচ্ছে যেহেতু, সেহেতু সেখানে নিম্প্রদীপ হ’য়ে বোমা ফেলা সুরু হবে? আপনাদের মত শিক্ষিত, আধুনিক ব্যক্তিদের পক্ষে এরূপ মনোভাব আদৌ প্রশংসনীয় নয়।” মোহন যেন অত্যন্ত লজ্জিত হইয়াছে এইরূপ ভাব দেখাইয়া কহিল, ‘সত্যিই বড় ভয় হয়েছিল।” এদিকে উল্কাবেগে ধাবমান প্লেনের ভিতর বসিয়া শীতল বাতাস মস্তিষ্কে লাগিয়া পুলিস-সুপারের নিদ্রার আমেজ আসিতে লাগিল। তিনি আরও দু-একটি সাধারণ আলাপ করিয়া নাকের উপর টুপি নামাইয়া দিয়া ঢুলিতে আরম্ভ করিলেন এবং মোহন গভীর ভাবে চিন্তামগ্ন হইল। এরোপ্লেন আপন উন্মাদ গতিবেগ বিভোর থাকিয়া সমভাবে ধাবিত হইতে লাগিল। (>$) রাত্রি ১০ টা ইম্পিরিয়াল এয়ার-ওয়েজের প্লেনখানি দিল্লী এরোড্রোমের মাথার উপর থামিবার পূর্বে পরিক্রমণ আরম্ভ করিল। মোহন উর্ধ্বাকাশ হইতে নিম্নে চাহিতে জানাইতেছে। এই লোভনীয় আবাহনের সহিত পুলিস-সুপারকে আবাহন করিবার জন্য যে পুলিস-অফিসার সমূহের সমাবেশ হইয়াছে, তাহা বুঝিতেও মোহনের বেগ পাইতে হইল না। এরোপ্লেন পরিক্রমণ করিতে করিতে নিম্নে অবতরণ করিয়া নির্দিষ্ট স্থানে গিয়া স্তব্ধ হইয়া দাড়াইল । পুলিস-সুপারের পশ্চাতে মোহন অবতরণ করিয়া দেখিল, দিল্লীর কমিশনার, সুপার ও কয়েকজন সাজেন্ট এলাহাবাদের সুপারকে অভ্যর্থনা করিয়া লইতে আসিয়াছেন। এলাহাবাদের সুপার যখন দিল্লীর কমিশনার প্রভৃতির সহিত সানন্দ করমর্দন করিতেছিলেন। তখন মোহন ভাবিল, এই অবসরে সরিয়া পড়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু যে-মুহুর্তে সে