পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ Qb" মোহন অমনিবাস মিঃ হ্যারিসনের মুখ স্নান হইয়া গেল। তিনি ক্ষণকাল নীরবে থাকিয়া কহিলেন, “না, মিঃ ব্যানাজী, এক্ষেত্রেও আমি ব্যর্থ হয়েছি।” বিস্ময় প্রকাশ করিয়া মোহন কহিল, “কেন দস্যুটা কি আসে নি ?” “বলা শক্ত। তবে যে-পথে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সে-পথে যে আসে নি, তা’ নিশ্চয় করে বলা চলে।” মিঃ হ্যারিসন গম্ভীর মুখে কহিলেন। - মোহন দুঃখিত স্বরে কহিল, “তবে তো বিপদের কথা, স্যার! দেখছি দিল্লী-বাস ত্যাগ করাই সমীচীন।” মোহনের কথা শুনিয়া সুপার সহস্যে কহিলেন, “মিথ্যে আপনি উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, মিঃ ব্যানাজী। কারণ মোহন তা’র উদ্দেশ্য ছাড়া কোন কাজ করে না। এ আমরা বরাবর দেখে আসছি।” মোহন আগ্রহ ভরে কহিল, “তা’র উদ্দেশ্য তা’ হ’লে আপনি জ্ঞাত আছেন, মিঃ হ্যারিসন ?” প্রশ্ন শুনিয়া মিঃ হ্যারিসন সবিস্ময়ে মোহনের মুখের দিকে চাহিলেন ; কিন্তু নিছক কৌতুহল ভিন্ন অন্য কিছু মোহনের মুখে দেখিতে না পাইয়া কহিলেন, “অবশ্য আমরা অনেক কিছুই জানি। সে সব একান্ত গোপন-তথ্য, মিঃ ব্যানাজী। আপনাকে আমরা শুধু এইটুকু আশ্বাস দিতে পারি, আপনার প্রমোদ-ভ্রমণের পথে দসু মোহন কোন বাধা হ’য়ে দাঁড়াবে না।” সুপারের সহিত মোহনও হাসিয়া উঠিল ও সহসা চেয়ার ছাড়িয়া বিদায় অভিনন্দন একটি হকার-বালক সেদিনের সংবাদপত্র ফিরি করিতেছিল। মোহন একখানি সংবাদপত্র ক্রয় করিয়া একখানি ফিটন গাড়ীতে উঠিয়া বসিল এবং রয়েল হোটেলে যাইবার জন্য আদেশ দিল। - - গাড়ীতে বসিয়া সংবাদ-পত্ৰখনি পাঠ করিতে গিয়া, প্রথমেই সরোজের আগামী দায়রাবিচারের সংবাদ নজরে পড়িল। মোহন এক নিঃশ্বাসে সংবাদটি পাঠ করিলষ্টতাহার হাত হইতে সংবাদপত্র গাড়ীর মেঝের উপর খসিয়া পড়িল ; মোহন দুই করতলের উপর মাথা রাখিয়া হেট হইয়া বসিয়া রহিল। 父 (*) আমরা সংবাদটি নিম্নে উদ্ধৃত করিয়া দিলাম – সে “আগামী পরশু দায়রায় রায়সাহেব অবিনাশচন্দ্র রায়ের বাড়িতে ডাকাতি ও হত্যার চেষ্টা সম্বন্ধে সরোজ সোমের যে বিচার আরম্ভ হইয়াছিল, ঐ দিন শেষ হইয়া যাইবে। এই কেসটি সম্বন্ধে বাঙলার জনসাধারণের ভিতর কৌতুহল ও উত্তেজনার আর অন্ত নাই। আমাদের পাঠ-পাঠিকাগণের স্মরণ আছে যে, দসু্য মোহন সরোজ সোমের ভগ্নী রমা দেবীকে বিবাহ করিয়াছিল ; পরে ঘটনা বিপর্যয়ে বাঙলার চীফ ডিটেকটিভ ইনস্পেকটার মিঃ বেকারের গুলিতে তিনি আহত হন। এক্ষেত্রে জনসাধারণের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হইয়া আছে যে, দসু মোহন এক্ষেত্রে কিছুতেই তাহার শ্যালককে দন্ড পাইতে দিবে না।”