পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ф: У о মোহন অমনিবাস করিতে দেখিয়া সভয়ে চিন্তা করিল, “ভদ্রলোক কি উন্মাদ হইয়া গিয়াছেন ?? o মোহনের দৃষ্টি তাহদের উপর পতিত হইলে, মোহন সাগ্রহে কহিল, “টেলিফোন, টেলিফোন আছে ?” { “হা অফিসে আছে। কিন্তু এসব ব্যাপার কি আপনার ?” ম্যানেজার গম্ভীর স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন। মোহন দ্রুতপদে ম্যানেজারের নিকট আসিয়া তাহার একখানি হাত ধরিয়া টানিতে এখন চলে যাব।” এরোড্রোমের কনেক্সন পাইয়া মোহন আপন উত্তেজনা শান্ত করিয়া কথা কহিতে আরম্ভ করিল। ম্যানেজার এই ভাবিয়া আশ্বস্ত হইলেন যে, ভদ্রলোক উন্মাদ হন নাই। (S.o) রায়সাহেবের ভৃত্য রামচরণ প্রভুর জুতা ব্রাশ করিতেছিল। সময় অপরাহু। আগামী কল্য দায়রায় সরোজের বিচারের দিন। রায়সাহেব প্রসাধনে রত ছিলেন। তিনি গুণ গুণ করিয়া একটি গান গাহিতে গাহিতে শক্ত কলারে বোতাম প্রবেশ করাইবার ব্যর্থ চেষ্টা করিতেছিলেন। অতি শক্ত কলারের একটানা একটা প্রাস্ত প্রত্যেকবারেই আয়ত্তের বাহিরে চলিয়া যাইতেছিল। অবশেষে অতিমাত্রায় বিরক্ত হইয়া তিনি হাকিলেন, “এই রামচরণ!” “হুজুর । বলিয়া এক হাতে ব্রাশ ও অন্য হাতে একপাটি জুতা লইয়া রামচরণ দ্রুতপদে প্রসাধন-কক্ষে প্রবেশ করিল। রায়সাহেব তাহার দিকে না চাহিয়াই কহিলেন, “এই দিকটা চেপে ধর, হতভাগা।” রামচরণ জুতা ও ব্রাশ মেঝের উপর নামাইয়া রাখিয়া প্রভুর আদেশ তামিল করিয়া বাহির হইয়া গেল। কিন্তু দুধের মত সাদা কলার যে জুতার কালিতে ভূষিত হইয়া গেল, তাহা কাহারও দৃষ্টিতে পড়িল না। সেদিন রায়সাহেবের মনটা নানা কারণে অতি মাত্রায় প্রফুল্ল ছিল। তিনি বেশভূষা দিয়েছিলি o” .." o “দিয়েছিলুম।” রামচরণ নিবেদন করিল। இ. ! “কি বললে সে ?” রায়সাহেব সদয় কষ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন। i o o - (&》や “কিছুই বললে না, হুজুর। মুখখানা ভালুকের মত করে চলে গেল।” রামচরণ কহিল। - রায়সাহেব বিকৃত মুখে কহিলেন, “চলে গেল ! এবার যদি তাকে আমার বাড়ীর ত্রিসীমানায় দেখতে পাই, তবে তাকেও জেলে পুরব, আর তোকেও।” রামচরণ নীরবে দাড়াইয়া রহিল। রায়সাহেব ক্ষণকাল অপেক্ষা করিয়া উঠিয়া কহিলেন, “আমার ফিরতে দেরী হবে।” রায়সাহেব ছড়ি হাতে করিয়া বাড়ীর বাহিরে আসিয়া দাঁড়াইলেন এবং সর্তক দৃষ্টিতে