পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& S & মোহন অমনিবাস দ্রুত কষ্ঠে কহিলেন, “আমার এক বন্ধুর সঙ্গে বাজী ধরেছি। সে পিছনে আমাকে অনুসরণ করছে। আমি নেমে গিয়ে তা’কে হারাতে চাই। তুমি কিন্তু দাঁড়াবে না, সোজা নিউ মার্কেট অবধি চলে যাবে। আচ্ছা আরও পাঁচ টাকা বকশিশ নাও। এইবার বুঝেছ ?” ড্রাইভার কহিল, “বুঝেছি, হুজুর।” * গাড়ীর বেগ কমিলে রায়সাহেব গাড়ী হইতে নামিয়া পড়িলেন ও একটা গলির মুখে প্রবেশ করিলেন। তাহার ট্যাক্সি সোজা ছুটিতে লাগিল। অল্প সময় পর পশ্চাতের গাড়ীখানি তাহার পিছনে ছুটিয়া গেল। তিনি একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া আপন মনে কহিলেন, “যাক, এইবার আমি নিশ্চিন্ত।” রায়সাহেব অন্য একখানি ট্যাক্সি ভাড়া করিয়া আরোহণ করিলেন। ট্যাক্সি কলিকাতা ছাড়িয়া উত্তর-মুখে ধাবিত হইল এবং অর্ধঘন্টা পরে একটি বাগানের ভিতর প্রবেশ করিল। রায়সাহেব ট্যাক্সি হইতে অবতরণ করিলে, দুইজন দারোয়ান গাড়ীর নিকট আসিয়া র্তাহাকে অভিবাদন করিলে, তিনি কহিলেন, “খবর সব আচ্ছা হ্যায় ?” “হুজোঁর!” দারোয়ান সম্মতি প্রকাশ করিল। রায়সাহেব স্মিত মুখে বাগানের অভ্যস্তরস্থ সুদৃশ্য অট্টালিকায় প্রবেশ করিলেন এবং একজন পরিচারিকাকে ডাকিয়া কহিলেন, “কোন অসুবিধা নেই তো ? আচ্ছা খবর দাও, আমি এসেছি।” রায়সাহেব একটি সুসজ্জিত কক্ষে প্রবেশ করিয়া উপবেশন করিলেন। অল্প সময় পরে দ্বারের বাহিরে লঘু পদশব্দ উখিত হইল ; আনত বিষন্ন মুখে রমা প্রবেশ করিল ও অনতিদূরে একখানি চেয়ারের উপর উপবেশন করিল। রায়সাহেব কহিলেন, “কেমন আছ, রমা ?” রম কোন উত্তর দিল না। নতমুখে বসিয়া রহিল। রায়সাহেব কহিলেন, “কাল সরোজের বিচারের দিন।” রমার মুখ ক্ষণিকের জন্য কালো হইয়া গেল। সে মুখ তুলিয়া একবার চাহিয়া পুনরায় মুখ নত করিল। of to...?" রায়সাহেব কহিলেন, “কিন্তু বিচারের ফল যা হবে, তাতে আমার সন্দেহ নেই।” রম তবুও একটা কথা বলিল না দেখিয়া, রায়সাহের মৃদু হাসিয়া পুনরায় কহিলেন, “তোমার কি কিছুই বলবার নেই, রমা ?” XX রমার মুখভাব কঠিন হইয়া উঠিল ; সহসা কহিল, “আপনার মত নীচাশয়ের কাছে আমার বলবার কিছুই নেই।” ধারণ করিল। তিনি কহিলেন, “আমি নীচাশয়—না? নইলে তোমাকে ভুলিয়ে এনে, এমন মহা সন্মানের মধ্যে রেখেছি কেন ? আমার ইচ্ছা পূর্ণ হবার পথে সর্ব সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এমন ভদ্র ব্যবহার করছি কেন? জান রমা, যে লোক মোহনের মত দস্যর স্ত্রীকেও এমন অবলীলাক্রমে ভুলিয়া আনতে পারে, যে-লোক আপন আয়ত্তাধীনে পেয়েও, তার বহুদিনের