পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমা-হারা মোহন - (t Հ ծ সব কথা বলেছি, তা প্রমাণ করবার ভার যে আমার উপর তা’ আমি মুহুর্তের জন্যও ভুলি 向P” - বিচারক কহিলেন, "উত্তম।” আপনি অগ্রসর হউন।” মিঃ বিন্দু বলিতে লাগিলেন, “আসামী যে তরুণ যুবক, তা আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন। পুরী থেকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে কলকাতায় এতগুলি নগদ টাকা আনতে হবে ভেবে, পথের দস্যু-তস্করের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য লাইসেন্স করা একটি রিভলভার সঙ্গে নেওয়া সমীচীন ভেবে, আসামীর যে রিভলভার এখানে এক্সিবিট করা হয়েছে, সেখানি সঙ্গে নেন এবং কলকাতায় উপস্থিত হ’য়ে রায়সাহেবের বাড়ীতে প্রথমে বেলা দশটার সময় উপস্থিত হন। কিন্তু রায়সাহেব আগের রাত্রে কতিপয় বাঈজির সঙ্গে বাগানে গমন করেছিলেন এবং তখনও বাড়ীতে ফেরেন নি দেখে, আসামী তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে ফিরে আসেন। তারপর দু-তিনবার চেষ্টা করবার পর রাত্রি এগারোটার সময় রায়সাহেবের সঙ্গে আসামীর সাক্ষাৎ হয়।” রায়সাহেব বাধা দিয়া বিচারকের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “হুজুর সব মিথ্যা কথা। আমার মত সন্মানিত ব্যক্তিকে এই ভদ্রলোক আপনার সামনেই অপমানিত করেছেন।” বিচারক কহিলেন, “চুপ করুন।” মিঃ বিন্দু কহিলেন, “মি. লর্ড, এখানে একটু অবাস্তর বিষয়ের অবতারণা করছি। কারণ আমার বিজ্ঞ বন্ধু পাবলিক প্রসিকিউটর প্রথমে তা’ করেছেন। তিনি বলেছেন, আসামী দস্য মোহনের আত্মীয় বলে দসুগিরিতে পক্ক হয়ে উঠতে প্রেরণা লাভ করেছেন। কিন্তু এই কথায় আমার শ্রদ্ধা হয় না, মি. লর্ড। কারণ তা হলে আমাকে কি বিশ্বাস করতে হবে, আমার বিজ্ঞ বন্ধু পাবলিক প্রসিকিউটর তার মক্কেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ফলে এরূপ উক্তি করতে প্রেরণা পেয়েছেন ?” কেহ কোন প্রতিবাদ করিলেন না। খুব সম্ভবতঃ পাবলিক প্রসিকিউটর মিঃ বিন্দুর অভিযোগের নিগুড় অর্থ বুঝিতে সক্ষম হন নাই। মিঃ বিন্দু পুনরায় বলিতে লাগিলেন, “রাত্রি এগারেটার সময় আসামী সরোজ রায়সাহেবের ড্রইংরুমে উপস্থিত হয়ে দেখে, রায়সাহেব তখন মদ্যপান করছেন।” - & 2 রায়সাহেব বাধা দিতে গিয়া বিচারকের কঠিন দৃষ্টির সহিত দৃষ্টি মিলিতেই নীরব হইয়া পড়িলেন। মিঃ বিন্দু বলতে লাগিলেন, “আসামীর দিকে চেয়ে রায়সাহেব জিজ্ঞাসা করেন, কত টাকা এনেছ ? আসামী বলেন, দশ হাজার টাকা। রায়সাহেব ক্রুদ্ধ হয়ে সম্পূর্ণ মদের বোতলটা সবেগে বাইরে ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি লাখ টাকার এক টাকা কমও গ্রহণ করব না। আসামী বলেন, “অত টাকা দেবার আমাদের শক্তি নেই। আমরা তা’ হ’লে সর্বস্বাস্ত হ’য়ে যাবো। রায়সাহেব বলেন, সর্বস্বাস্ত হও হবে, কিন্তু আমার চাই। আসামী বলেন, ‘কোন উপায় নেই। হয় আপনাকে এই টাকা নিয়ে নীরবে থাকতে হবে, নয় আপনাকে মুখ খুলতে হবে। রায়সাহেব তখন ক্রুদ্ধ হ’য়ে অট্টহাস্য করতে থাকেন। বলেন, মুখ খোলার ফল, কি হবে জানো ? আসামী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, ‘আমার পিতার অকাল মৃত্যু হবে। রায়সাহেব বলেন, আমি একটা টাকাও চাই না, যদি তুমি অন্য একটি জিনিস পরিবর্তে দিতে পার। আসামী সোৎসাহে বলেন,