পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o, s রমা-হারা মোহন (* ՀՎ) সঙ্গেই আছে o” * - রায়সাহেব ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে একবার মিঃ বিন্দুর দিকে চাহিয়া, বিচারককে লক্ষ্য করিয়া কহিলেন, “হুজুর, সব মিথ্যে কথা।” মিঃ বিন্দু গম্ভীর স্বরে কহিলেন, “আমার প্রশ্নের উত্তর হল না রায়সাহেব, আপনার কাছে দলিলটা আছে কি নেই, তাই বলুন!” সহসা রায়সাহেব ভুলিয়া গেলেন, তিনি আদালতে আছেন ; তিনি ভুলিয়া গেলেন, তাহাকে বিচারকের সম্মুখে জেরা করা হইতেছে; তিনি ভুলিয়া গেলেন নিজের পদ-মৰ্যাদা; তিনি রক্ত-চক্ষু পকাইয়া কঠোর দৃষ্টিতে চাহিয়া কহিলেন, “কে, কে আপনি?” মিঃ বিন্দুর মুখে হাসি ফুটিয়া উঠিল। তিনি বিচারকের বিস্মিত মুখের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “ধর্মাবতার। রায়সাহেব ক্রুদ্ধ হয়েছেন, উনি বার বার আমার পরিচয় চাইছেন। কারণ উনি বুঝেছেন, যে-চাতুরীর জাল অতি যত্নে উনি বুনেছিলেন, তা’ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। উনি বুঝেছেন ওঁর প্রকৃত পরিচয় লোকসমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।” সহসা মিঃ বিন্দু রায়সাহেবের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “আপনি সর্বদা coloured glass পরে থাকেন কেন, রায়সাহেব ?” এই লোকটা অপমানিত করছে, ধর্মাবতার। আমি..........” “চুপ করুন।” বিচারক গর্জিয়া উঠিলেন। . . মিঃ বিন্দুকহিলেন, “এইবার ডিমনষ্ট্রেশন করে দেখিয়ে দেব,আপন-হস্তের রিভলভারের গুলিতে রায়সাহেব কি ভাবে আহত হয়েছেন।” এই বলিয়া মিঃ বিন্দু রায়সাহেবের নিকট চক্ষের পলক ফেলিবার পূর্বে এক লাফে উপস্থিত হইলেন এবং কেহ কিছু বুঝিবার পূর্বে বলিবার পূর্বে এবং রায়সাহেব সত্যই কি ঘটিতেছে বা ঘটিতে যাইতেছে জানিবার পূর্বে মিঃ বিন্দু রায়সাহেবের উপর লাফাইয়া পড়িলেন। সহসা রায়সাহেব বিকট চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “মোহন, মোহন, দসু্যু মোহন।" সহসা কি হইতে কি ঘটিয়া গেল, কোর্টের সমক্ষে জনতা গোলমূল করিতে করিতে দাঁড়াইয়া উঠিল। জুরীগণ ও বিচারক মহা-উদ্বিগ্ন হইয়া গোলমাল থামাইবার জন্য সমস্বরে আদেশ জানাইতে লাগিলেন। ക് মাত্র দুই মিনিট। রায়সাহেব যখন উঠিয়া দাঁড়াইলেন, তখন সকলে দেখিয়া বিস্মিত ও হতবুদ্ধি-প্রায় হইল যে, তাহার চক্ষুর রঙীন চশমা অস্তহিত হইয়াছে এবং দক্ষিণ চক্ষুটিরও কোন পাত্তা নাই। চক্ষুর স্থানে একটি গভীর গহুর পরিলক্ষিত হইল। রায়সাহেবের অশ্রু-সিক্ত মুখের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “কি ব্যাপার? মিঃ বিন্দু কোথায় ?” বিচারক আতঙ্কিত ও বিস্মিত স্বরে কহিলেন, “ও-সব কি বলছেন? আপনার চোখ কি হ’ল ?” রায়সাহেব এক হস্তে দক্ষিণ চক্ষু চাপিয়া কহিলেন, “বার বার বলছি ধর্মাবতার বিন্দু