পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন অমনিবাস גס פי মোহন কহিল, “বাজে চিন্তা ছাডুন বলুন, আপনি কি এখনও আশুতোষবাবুর মেয়ে মাধুরী দেবীকে বিবাহ করবার জন্য প্রস্তুত আছেন?” সুদর্শনের মুখ অপূর্ব বিভায় আলোকিত হইয়া উঠিল। কহিল, “প্রস্তুত আছি। প্রাণ দিয়েও তাকে উদ্ধার করতে প্রস্তুত।” - মোহন মৃদু হাসিয়া কহিল, “প্রাণও দিতে হবে না, আর উদ্ধারও করতে হবে না। মাধুরী দেবী কি সত্যই আপনাকে চান?” সুদর্শনের মুখে বেদনার চিহ্ন পরিস্ফুট হইয়া উঠিল;কহিল, “আমাদের মধ্যে কোনো সন্দেহের অবকাশ ছিল না, মোহনবাবু। কিন্তু সে তার বাবাকে বিপদাপন্ন কোরে কিছুতেই আমাকে রিবাহ করতে সম্মত হবে না।” মোহন কহিল, “আমি বাবু’ নই। দ্বিতীয়বার ঐ বিশেষণে আমাকে কলঙ্কিত করবেন না। বাবু! একমাত্র এই একটি শব্দেই বাঙালী আজ এমন আয়েশী, এমন অপদার্থ, কাপুরুষে পরিণত হয়েছে। থাক ও-কথা! মন দিয়ে শুনুন। জমিদারের সঙ্গে মাধুরীর বিবাহ হবে না। আমি আদেশ দিয়েছি, হবে না। আমি.....” সহসা বাধা দিয়া সুর্দশন কহিল, “এ বিবাহ কিছুতেই নীলরতনবাবু বন্ধ রাখবেন না!” “তবে তাকে মরতে হবে। আমি যখন কথা বলি, তখন আমি ইচ্ছা করি, বিনা বাধায় অন্যে শুনবে। বুজতে পেরেছেন? হাঁ, এখন শুনুন। এ বিবাহ কিছুতেই হবে না। বিবাহের তারিখ আর চারদিন পরে। আপনি আজ কিম্বা কাল বাড়ী চলে যান। বিবাহের তারিখ অর্থাৎ ২০শে বৈশাখ হিন্দুর নিয়ম মত উপবাস কোরে থাকবেন। তারপর যা করবার আমি করবো। মোহন চেয়ার ত্যাগ করিয়া দাড়াইল। কহিল, “আমার অনুরোধ আর আদেশ দুইই এক বস্তু। আমার আদেশ অমান্য করা হবে, তা? আমি কল্পনাতেও ভাবতে পারি না। আমি যা বললুম তা গোপন রাখবেন, আর প্রয়োজনের সময় যেন আপনাকে আমি প্রস্তুত পাই— দেখবেন।” মোহন বাহির হইবার জন্য দ্বারের অগলে হাত দিল। সুদর্শন ব্যস্তভাবে দাড়াইয়া কহিল, “আপনার ঋণ আমি জীবনে শোধ করতে পারবো না। আমার সভক্তি নমস্কার গ্রহণ করুন।” இன் মোহন চকিত মুখ ফিরাইয়া মৃদু হাস্য করিল ও মাথা দোলাইয়ী প্রতিনমস্কার করিল এবং পর মুহুর্তে কক্ষ হইতে বাহির হইয়া গেল। oে সুদৰ্শন দ্রুতপদে জানালার নিকট আসিয়া দেখিল, একটি সুবৃহৎ মোটর বাড়ীর বিপরীত দিকে অপেক্ষা করিতেছিল। মোহন আরোহণ করিবার সঙ্গে সঙ্গে ছুটিয়া অদৃশ্য হইয়া গেল । সুদৰ্শন কক্ষ-মধ্যস্থিত শ্রীকৃষ্ণের ছবির দিকে চাহিয়া কৃতজ্ঞ স্বরে কহিলেন, “তুমি করুণাময়। তুমি বাঞ্ছাকল্পতরু ! তুমি প্রেমময় ভগবান!” (>br) পুলিস-কমিশনার স্ত্রীর মুখে সমস্ত বিষয় অবগত হইয়া বিস্ময়াপন্নও হইলেন যতো,