পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ն, 8 মোহন অমনিবাস তাহাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। আপনাকে আমি উপযুক্ত শাস্তি বহু পূর্বেই দিতাম, কিন্তু আপনার কন্যার মুখ চাহিয়া বিরত হইয়াছি। আমার আদেশ শুনুন। আমি কিছুতেই আপনার কন্যার সহিত বৃদ্ধ-বাদর নীলরতনের বিবাহে সম্মতি দেবো না তাহা নিশ্চয়ই আপনি বুঝিতে পারিয়াছেন। আমি অবগত আছি, আপনি নানা ছলে কন্যাকে টোপরূপে রাখিয়া বহু অর্থ নীলরতনবাবুর নিকট হইতে আদায় করিয়া আত্মসাৎ করিয়াছেন। করুন, সে জন্য আপনাকে দোষী করিতেছি না। কিন্তু আপনি বিবাহের আয়োজন যেভাবে করিয়া যাইতেছেন সেরূপে তাহা সম্পন্ন করিয়া প্রস্তুত হইয়া অপেক্ষা করুন। আগামী পরশু ২০শে তারিখে নির্ধারিত লগ্নে আপনার কন্যার শুভ-বিবাহ যথারীতি সম্পন্ন হইবে। তবে জমিদার নীলরতনের সহিত নহে। আমার নির্ধারিত পাত্র যে সম্পূর্ণরূপে আপনার কন্যার উপযুক্ত হইবে, সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকিতে পারেন। আপনার বন্দকী-দলিল ফেরত পাইবেন ও যাবতী ঋণ হইতে মুক্তি পাইবেন। বিবাহের সম্পূর্ণ আয়োজন করিয়া ১০ টার লগ্নের জন্য প্রস্তুত থাকিবেন। রাত্রি ৯টার সময় নীলরতন মরিবে, সুতরাং তাহার আশা আর কিছুতেই করিতে পারেন না এবং যদ্যপি সে বিবাহ করিতে বিরত হইয়া মত পরিবর্তন করিয়া নিজ জীবন রক্ষা করে, তাহা হইলেও তাহার আশা বিন্দুমাত্রও থাকিবে না। সুতরাং যেদিক দিয়াই হউক আপনি আমার কার্যে সম্পূর্ণ সমর্থন দান করবেন। আমি দ্বিতীয় আদেশ দিই না—স্মরণ রাখিয়া কার্য করিবেন। ইতি— সমাজ-সেবক মোহন আশুতোষবাবু পত্ৰখানি তিনবার পাঠ করিলেন। তাহার মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়া উঠিল। তিনি অস্ফুট কণ্ঠে আপনাকে আপনি কহিলেন, “তা ঠিক, যেদিক দিয়েই দেখি না কেন, আমার সমলাভ। তবে বৃদ্ধ নীলরতনের পরিবর্তে যদি....” সহসা তিনি বিরত হইয়া কহিলেন, “না, না, না, এমন চিন্তাকে প্রশ্রয় দেবো না।” (9* জমিদার বাড়ীর একজন দারোয়ান আসিয়া জমিদারের আহ্বান জানাইলে, আশুতোষবাবু ー& মোহনের পত্ৰখানি নিজ বাক্সের মধ্যে বন্ধ করিয়া দ্রুতপদে দারোয়ানের পিছনে বাহির হইয়া গেলেন। (3 (২০) ১৯শে বৈশাখ। কলিকাতা হইতে একজন বড় অফিসারের অধীনে একটি সশস্ত্র পুলিস-বাহিনী বাণীনগরে উপস্থিত হইল, সারা গ্রামখানি ও আশেপাশের বহু গ্রামে বিস্মিত গুঞ্জন ধবনি উত্থিত হইল। এইবার ঘটনার গুরুত্ব যে কিরূপ বিরাট, তাহা সকলের মনে গভীর ভাবে অনুভূত হইল। অফিসার পুলিস-অফিসে পৌছিয়াই ডিটেকটিভ ইনস্পেক্টর মিঃ স্যানিয়েল ও পুলিসসুপারের সহিত কর্মপন্থা সম্বন্ধে আলোচনা আরম্ভ করিলেন। মিঃ স্যানিয়েল বীণানগরের