পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন br> “আপনার যা অভিরুচি, স্যার। আমার পরীক্ষা শেষ হয়েছে।” মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন। “প্রমাণ কোথায়?” চীফ অফিসার কহিলেন। “এ-ঘর বন্ধ করে ড্রইংরুমে চলুন, সেইখানেই আমার প্রমাণ দাখিল করবো।” মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন। জমিদারের শয়ন-কক্ষের দ্বার চাবি বন্ধ করিয়া মিঃ স্যানিয়েল চীফ অফিসারের সহিত ড্রইংরুমে প্রবেশ করিয়া একজন সাজেন্টকে কহিলেন, “প্রাইভেট সেক্রেটারী বিজন রায়কে আপনি চেনেন?” মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “খুব সম্ভবতঃ তাকে আমাদের লিমিটের বাইরে পাবেন। মোটরে যান, যত শীঘ্ৰ পারে তাকে সঙ্গে কোরে আনুন।” সাজেন্ট সেলাম ঠুকিয়া বাহির হইয়া গেল। মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “একটু অপেক্ষা করুন, স্যার, এখনই আপনার সন্দেহ ভঞ্জন করবো।” অভিবাদন করিয়া কহিল, “সর্বনাশ হয়ে গেল, স্যার ?” “আমরা বড়ই দুঃখিত, মিঃ রায়। আমাদের সাধ্যের ক্রটি করিনি।” চীফ অফিসার কহিলেন। মিঃ স্যানিয়েল বিজন রায়কে বসিতে বলিয়া কহিলেন, “আচ্ছা, মৃত জমিদারের শয়ন কক্ষের ঘড়ি কবে খারাপ হয়ে যায়?” মিঃ রায় কহিলেন, “বাবুর ঘরের বড় ঘড়ির কথা বলছেন?” “হাঁ।” . বিজন রায় মনে মনে হিসাব করিয়া কহিল, “আজ হতে পাঁচ দিন আগে মিঃ সরকার বলেন, ঘড়ির স্প্রিং কেটে গেছে। আমি আমাদের ঘড়ি-মেরামতের মিস্ত্রীকে ডেকে পাঠাই, সে এসে ঘড়ি খুলে নিয়ে যায়।” : ഭ് মিঃ স্যানিয়েলের মুখ দীপ্ত হইয়া উঠিল। চীফ অফিসার একাগ্রহইয়া শুনিতে লাগিলেন। মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “কবে আবার ঘড়ি ফেরত দেয়?" “গতকাল যখন তারা সব ঘড়িতে নিয়মিত দম দিতে স্লাসে ঐ ঘড়িটাও নিয়ে এসে মিঃ স্যানিয়েল কহিলেন, “আপনি কি স্বচক্ষে দেখেছেন ঘড়ি খাটিয়ে দিতে?” বিজয় রায় কহিল, “যদিও দেখা আমার ডিউটি নয়, তবু এইসব আন্দোলনের জন্য উপস্থিত থেকে বাবু আমাকেই ঘড়ি খাটাতে আদেশ দেন।” । “ঘড়িওয়ালা কত দূরে থাকে?” মিঃ স্যানিয়েল উদ্বিগ্ন স্বরে প্রশ্ন করিলেন। “বাজারে তার কারখানা আছে। দশ মিনিটের পথ।” বিজন রায় কহিল। চীফ অফিসার উঠিয়া কহিলেন, “আমাদের ঘড়িওয়ালার কাছে নিয়ে চলুন।” এমন সময় পুলিস-সুপার আগমন করিলেন। তাহাকে প্রাসাদের চার্জে রাখিয়া মিঃ من –(Iة لا ) 5IFEFI.)